Posts

অভিমন্যুর মৃত্যু কাহিনী: চক্রব্যূহের রহস্য উদ্ঘাটন

Image
মহাভারতের অভিমন্যুর পরিচয় পন্ডব পঞ্চপান্ডবদের মধ্যে তৃতীয় অর্জুনের পুত্র হলেন অভিমুন্য। মাতার নাম সুভদ্রা, এই সুভদ্রা আবার শ্রীকৃষ্ণের বোন। অভিমন্যের স্ত্রীর নাম উত্তরা তিনি আবার মৎসরাজ বিরাটের কন্যা। অভিমুন্যের একটিমাত্র সন্তান ছিলেন যার নাম ছিল পরীক্ষিত। যিনি পরবর্তীতে হস্তিনাপুরের রাজা হন।অভিমন্যুকে বালযোদ্ধা ও বীরশিশু হিসেবে স্মরণ করা হয়, যিনি অল্প বয়সেই অসাধারণ বীরত্ব দেখিয়েছিলেন। তার চরিত্র সাহস, নিষ্ঠা ও কর্তব্যনিষ্ঠার প্রতীক। অভিমন্যুর মৃত্যুর কারণ মহাভারতের একটি ট্র্যাজিক ও নাটকীয় ঘটনা। তার মৃত্যু মূলত কৌরবদের ষড়যন্ত্র, যুদ্ধকৌশলের শোষণ এবং কিছুটা অভিমন্যুর নিজের অসম্পূর্ণ জ্ঞানের ফল। মাত্র ১৬ বছর বয়সে অভিমন্যুর মৃত্যু হল কেন? অভিমন্যু হলেন মহাভারতের বীর যোদ্ধাদের মধ্যে একটি। যার পরাক্রমের কথা আমরা সবাই জানি।তার এই পরাক্রমের জন্যে তার নামকে অমর করে দিয়েছেন।তাই মহাভারতের এই যোদ্ধা কথা ইতিহাসেও উল্লেখ্যিত আছে।অভিমন্যু এই ১৬ বছর বয়সে মৃত্যু বরন করার পিছনে রয়েছে একটি কাহিনী।যার জন্যেই অভিমন্যু ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে ছিলেন। জানুন সেই কারন। অভিমন্যু ছিলেন মহাবীর অর্জুন...

ত্রিসন্ধ্যা কাকে বলে? সময় ও তাৎপর্য | Hindu Rituals Explained

Image
ত্রিসন্ধ্যা কর্ম:সঠিক সময়ে ঈশ্বর স্মরণের গুরুত্ব ও পদ্ধতি  বা জীবনের প্রতিদিনের এক গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক অনুশীলন। ত্রিসন্ধ্যা কাকে বলে? ত্রিসন্ধ্যা কর্ম বলতে মূলত সূর্যোদয়ের পূর্বে, মধ্যাহ্নে এবং সূর্যাস্তের পরবর্তী সময়ে ঈশ্বরের নামজপ ও ধ্যানকে বোঝানো হয়। এই তিনটি সময়কে যথাক্রমে বলা হয় প্রাতঃসন্ধ্যা, মধ্যাহ্নসন্ধ্যা এবং সায়ংসন্ধ্যা। প্রত্যেক সন্ধ্যার সময় গায়ত্রী মন্ত্র ধ্যান ও জপের ধরণ এবং হাতের অবস্থান ভিন্ন হয়ে থাকে। ত্রিসন্ধ্যার সময় অনেক সাধক মধ্যরাতেও জপ-ধ্যান করেন বলে জানা যায় (যেমন রামকৃষ্ণ মিশনের ‘ব্রহ্মগায়ত্রী’ গ্রন্থে উল্লেখ আছে)। সব সময় সূর্যের অবস্থানকে ভিত্তি করে এই ত্রিসন্ধ্যার সময় নির্ধারিত হয়। ত্রিসন্ধ্যার ছবি প্রথম সন্ধ্যা (প্রাতঃসন্ধ্যা) সূর্যোদয়ের অন্তত আধঘণ্টা আগে উঠতে হয়। একে ব্রাহ্ম মুহূর্তে জাগরণ বলা হয়। উঠেই হাত-মুখ ধুয়ে যারা দীক্ষিত, তারা গুরুর স্মরণ করে তাঁর প্রদত্ত মন্ত্র জপ করবেন। যারা দীক্ষিত নন, তারা ঈশ্বরের যেকোনো নাম (যেমন রাম, কৃষ্ণ, হরিনাম, ওঁ ইত্যাদি) অন্তত ১০৮ বার জপ করবেন। এই জপ ও ধ্যান সূর্যোদয়ের পর আধঘণ্টা পর্যন্ত চলতে পারে। দ্বিতীয়...

হরি নামের অর্থ ও মাহাত্ম্য: হরি নামের গুরুত্ব ও প্রভাব

Image
হরি শব্দের অর্থ ও মাহাত্ম্য: কেন বলা হয় ‘হরি বল’? ‘হরি’ শব্দের অর্থ ‘হরি’ (সংস্কৃত: हरि) হিন্দু ধর্মে পরমেশ্বর বিষ্ণুর একটি পবিত্র নাম। বেদে ‘হরি’ শব্দটি সেই পরম সত্ত্বাকে বোঝায়, যিনি অন্ধকার, মায়া ও দুঃখ দূর করেন। হরি শব্দটির মূল অর্থ —  ‘হরণকারী’ , অর্থাৎ যিনি আমাদের জন্ম-মৃত্যু, জরা, ব্যাধি ও দুঃখ-দুর্দশা চিরতরে হরণ করেন এবং মুক্তি প্রদান করেন।, হরি নামের অর্থ ও মাহাত্ম্য ‘হরি বল’ বা ‘হরি বোল’ কেন বলা হয়? ‘হরি বল’ মানে সবাইকে ‘হরি’র নাম জপ করার আহ্বান। বিশেষত মৃত্যুর সময় বা শবযাত্রায় এটি উচ্চারিত হয় আমাদের সকলকে স্মরণ করিয়ে দিতে — এই দেহ ক্ষণস্থায়ী। এই জীবনকে সার্থক করতে হলে হরিনাম কীর্তন করা উচিত। কারণ, হরি নাম শুধুমাত্র শব্দ নয়, এটি আত্মার পরম মুক্তির পথ। হরি নামের মাহাত্ম্য: দেবর্ষি নারদের অভিজ্ঞতা একদিন দেবর্ষি নারদ মনে মনে ভাবলেন — আমি সারাক্ষণ ‘হরি নাম’ করি, কিন্তু আসলে এই নামের মাহাত্ম্য কী? সত্যিই কি এতে কিছু হয়? এই প্রশ্নের উত্তর পেতে তিনি গেলেন  ব্রহ্মার  কাছে। ব্রহ্মা বললেন, “আমি বলতে পারব না, কারণ বললেও কম বলা হবে আর কম বললে পাপ হবে।” তারপর নারদ গেলেন...