Posts

Showing posts from March, 2025

ধর্মমতে একজন মানুষের দৈনিক কার্যাবলী

Image
হিন্দু ধর্মে দৈনন্দিন জীবনযাপনের জন্য নির্দিষ্ট কিছু আচার-অনুষ্ঠান ও নিয়ম-কানুন অনুসরণ করা হয়। এসব কার্যাবলী ব্যক্তিগত ভক্তি, পারিবারিক সংস্কৃতি এবং সামাজিক রীতিনীতির ওপর নির্ভর করে। একজন সনাতন(হিন্দুধর্মনুরাগী) ধর্মাবলম্বীর/ধর্মাবলম্বিনীর দৈনিক কার্যাবলী নিম্নের ধাধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হলোঃ একজন সনাতনী নরনারীর দৈনিক সাধারণ কার্যাবলীঃ ১."ওঁ তৎ সৎ”/ হরে কৃষ্ণ বা নিজ ইষ্টদেবতার নাম দিয়ে শুরু করা উচিত হিন্দু ধর্মীয় সকল কাজ শুরুর আগে।  ২."ওঁ প্রিয়দত্তায়ৈ ভূম্যৈ নম:" বলুন সকালে ঘুম থেকে উঠে পূর্বমুখী হয়ে মাটি স্পর্শ করে।  ৩.ঘরের দরজা খুলে পূর্বমুখী হয়ে সূর্য প্রণাম মন্ত্র: ওঁ শ্রী সূর্যায় নমঃ।  ৪. স্নান করার সময় বলুন- ওঁ গঙ্গে চ যমুনা চৈব গোদাবরি সরস্বতী নর্মদে সিন্ধু কাবেরি জলেহস্মিন সন্নিধিং কুরু। পরে- ওঁ কুরুক্ষেত্র গয়া গঙ্গা প্রভাস পুষ্করিণী চ তীর্থান্যেতানি পুণ্যানি স্নানকালে ভবন্ত্বিহ। ৫.গৃহ প্রবেশ মন্ত্র- ওঁ শ্রী বাস্তুপুরুষায় নমঃ। ৬ খাবার আগে- ওঁ শ্রী জনার্দ্দনায় নম: ৭. ঘুমাবার আগে- ওঁ শ্রী পদ্মনাভায় নমঃ। ৮.বিপদে পড়িলে - ওঁ শ্রী মধুসূদনায় নমঃ। ৯.মলমূত্...

হিন্দু ধর্মে পশু বলি

Image
শাস্ত্রে যে সকল পুজোয় পশুবলির কথা উল্লেখ রয়েছে আসলে সেই পুজোগুলোতে সত্যিকারের পশুকে বলি করার কথা বলা হয়নি বরং বলা হয়েছে আমাদের কাম, ক্রোধ, হিংসা, লোভ প্রভৃতি কামনা গুলোকে বলি দেওয়ার জন্য। তাছাড়া মহাঙ্গানী শ্রীশঙ্করাচার্য বলেছেন "জীব ব্রম্মইব নপর" অর্থাৎ জীব ব্রম্ম ছাড়া কিছুই নয়। পশু বলি কেন দেওয়া হয়? পশু বলি মূলত ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যগত কারণে দেওয়া হয়। বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতিতে পশু বলির ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা ও উদ্দেশ্য রয়েছে। নিচে এর কিছু মূল কারণ তুলে ধরা হলো: ১. ধর্মীয় কারণ: হিন্দু ধর্ম: অনেক হিন্দু সম্প্রদায় দেব-দেবীর সন্তুষ্টির জন্য পশু বলি দেয়। বিশেষত কালীপূজা, দুর্গাপূজা ও অন্যান্য শাক্ত সম্প্রদায়ের উপাসনায় পশু বলির প্রচলন দেখা যায়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে বলির মাধ্যমে দেবতাদের সন্তুষ্ট করা হয় এবং তারা ভক্তদের আশীর্বাদ প্রদান করেন। ২. সাংস্কৃতিক ও ঐতিহ্যগত কারণ: অনেক সমাজে পশু বলি একটি পুরনো ঐতিহ্য যা শতাব্দী ধরে চলে আসছে। কিছু আদিবাসী ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে এটি তাদের পূর্বপুরুষদের বিশ্বাসের অংশ হিসেবে দেখা হয়। ৩. শুভ শক্তি আহ্বান ও অশুভ শক্তি...

নমস্কার না হরেকৃষ্ণ কোনটি সঠিক

Image
"নমস্কার" এবং "হরেকৃষ্ণ" – উভয়ই সঠিক, তবে এগুলোর ব্যবহারের প্রসঙ্গ ভিন্ন।"নমস্কার" একটি সাধারণ অভিবাদন, যা হিন্দু সংস্কৃতিতে ব্যবহার করা হয়। এটি শ্রদ্ধা ও সৌজন্যের প্রকাশ।"হরেকৃষ্ণ" প্রধানত বৈষ্ণব ও ইসকন অনুসারীরা অভিবাদন বা কীর্তনের সময় ব্যবহার করেন। এটি ভগবান কৃষ্ণের নামের স্তব বা জপ। নমস্কার বা হরে কৃষ্ণ কোনটি বলবেন? তা সনাতন ধর্মের বিভিন্ন গ্রন্থে  বিশদভাবে আলোচনা করা হয়েছে। নমস্কার নাকি হরে কৃষ্ণ কোনটি আগে সেটি জানার জন্য সর্বপ্রথমে আমাদের জানতে হবে সমান কত প্রকারের এবং সেগুলো কি কি?  সম্মান পাঁচ প্রকার। প্রত্যুথান --- কোন ব্যক্তিকে সম্মান জানানোর জন্য উঠে দাঁড়ানোকে প্রত্যুথান বলে।। নমস্কার --- হাত জড়ো করে সৎকার করা। উপসংগ্রহণ বা প্রণাম --- বয়জ্যেষ্ঠদের পা ছোঁয়া। স্রাষ্টাঙ্গ --- পা, হাটু, পেট, কপাল ও হাতের সাহায্যে মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে সম্মান জানানো। প্রত্যাভিবাদন --- অভিনন্দনের বদলে অভিনন্দনের জবাব দেয়া। নমস্কারম্ হলো পাঁচ প্রকার সম্মানের মধ্যে এক প্রকার। নমস্কার না হরেকৃষ্ণ নমস্কার কি? কাকে নমস্কার দেওয়া যাবে? কেন নমস্কার জানাতে হাত জ...

সন্তানকে কৃষ্ণভক্ত করবেন কেন ?

Image
সন্তানকে কৃষ্ণভক্ত কৃষ্ণের প্রতি ভক্তি ও প্রেমে উদ্বুদ্ধ করার কিছু গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে, যা আত্মিক, নৈতিক ও মানসিক বিকাশের জন্য সহায়ক হতে পারে। ১. নৈতিক ও চারিত্রিক গুণাবলি গঠন কৃষ্ণভক্তি শিশুকে সততা, দয়া, ক্ষমাশীলতা, ধৈর্য ও বিনয় শেখায়। গীতার শিক্ষা অনুসারে কৃষ্ণভক্ত ব্যক্তি সত্যনিষ্ঠ, অহংকারহীন ও আত্মনিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়ে ওঠে। ২. মানসিক শান্তি ও স্থিরতা ভগবান শ্রীকৃষ্ণের প্রতি ভক্তি চর্চার মাধ্যমে শিশুদের মনে আধ্যাত্মিক শান্তি ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠে। সংকট বা দুঃখেও তারা ধৈর্য ধরতে শেখে এবং ভয় কমে যায়। ৩. কর্মফল ও দায়িত্ববোধের শিক্ষা ভগবদ্‌গীতার শিক্ষা অনুসারে, "কর্ম কর, কিন্তু ফলের আশায় নয়"—এই নীতি শিশুকে দায়িত্ববান ও পরিশ্রমী করে তোলে।  সন্তানকে কৃষ্ণভক্ত করবেন কেন ? ৪. আসক্তি থেকে মুক্তি ও আত্মনিয়ন্ত্রণ কৃষ্ণভক্তি চর্চার মাধ্যমে শিশুরা মোহ, লোভ ও অহংকার থেকে দূরে থেকে সংযমী জীবনযাপন শিখতে পারে। ৫. সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সার্বজনীনতা শ্রীকৃষ্ণের শিক্ষা সর্বজনীন, যা জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রতি প্রেম ও মৈত্রীর বার্তা দেয়। ফলে সন্তান মানবিক ও উদার ম...

গীতার বাণী পড়ুন; জীবনকে বদলে দিতে পারে

Image
গীতা সর্বমোট  সাতশো শ্লোকের একটি হিন্দু ধর্মগ্রন্থ৷গীতাকে অনেকে প্রাচীন সংস্কৃত মহাকাব্যের একটি অংশ হিসেবে মানেন৷গীতা হলো ভগবানের মুখনি:সৃত বাণী৷ শ্রী কৃষ্ণের মুখ থেকেই এই গীতায় বাণী নি:সৃত হয়েছে ফলে গীতার বাণী একটি ঐশ্বরিক বাণী হিসেবে বিবেচিত হয়৷ কুরুক্ষেত্রে অর্জুনকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছিল শ্রী কৃষ্ণ৷ আর সেই ভগবানের মুখনি:সৃত বাণীই আজও মানুষকে উদ্ধুদ্ধ করে চলেছে সমাজের শ্রেষ্ঠ ধর্ম পরায়ন হতে৷ বেদব্যাস মহাভারত রচনা করেছিলেন ,মহাভারতের অংশ রূপে গীতাও তাঁর দ্বারাই রচিত বলে মনে  করা হয়৷ গীতার রচনাকাল সম্বন্ধে অনেক রকম মতামত রয়েছে এই ধরায়। ঐতিহাসিকেরা মনে করেন এই গ্রন্থের রচনাকাল খ্রিষ্টপূর্ব পঞ্চম থেকে দ্বিতীয় শতাব্দী পর্যন্ত যে কোন সময়ের মধ্যে হতে পারে। গীতার বাণী পড়ুন গীতার ১২ বানী:    শ্রীমদ্ভগবদ্‌গীতা হিন্দু ধর্মগ্রন্থ মহাভারতের একটি অংশ, যেখানে কৃষ্ণ অর্জুনকে ধর্ম, কর্ম ও আত্মার প্রকৃতি সম্পর্কে উপদেশ দেন। গীতার কিছু গুরুত্বপূর্ণ শ্লোক ও তাদের বাংলা অনুবাদ এখানে দেওয়া হলো: ১. কর্মযোগ (অধ্যায় ২, শ্লোক ৪৭) কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন। মা কর্মফলহেতু...

নতুন গৃহে প্রবেশের নিয়ম ও পূজা এবং করনীয়

Image
নতুন গৃহে প্রবেশ করার সময় কিছু ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও শুভ কাজ অনুসরণ করা হয়, যা সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে ধরা হয়। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম ও পরামর্শ দেওয়া হলো: নতুন গৃহে প্রবেশের নিয়ম ও পূজা এবং করনীয় বঞ্চনীয় সকল দার্শনিক ধর্মীয় মতামত নিম্নে আলোচনা করা হল। সঠিকভাবে গৃহ বা ঘর নির্মাণ এবং গৃহ প্রবেশ এর জন্য পূজোর রীতি প্রাচীনকাল থেকে চলে আসছে বংশপরম্পরায। ধর্ম বা শাস্ত্র অনুসারে গৃহে যাতে সুখ শান্তি, সমৃদ্ধি এবং নিরাপদে বসবাস করার জন্যই অতি প্রাচীন কাল থেকেই গৃহ নির্মাণ ও গৃহ প্রবেশ কালে পূজার রীতির প্রচলন চলে আসছে।গৃহ নির্মাণ ও প্রবেশ কালে কিছু আচারবিধি রয়েছে ,যদি ও সব জায়গায় একই রকম নয়।নতুন গৃহে প্রবেশ করতে শাস্ত্রীয় বিধি বিধান মেনে চললে উপকার হয়। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, গ্রহগুলির প্রভাব আমাদের ওপর পড়ে। যার ফলে গ্রহের উপস্থিতি কাল, গল্ন–সময় আমাদের শুভ–অশুভের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ... নতুন গৃহ নির্মাণ হবার পর প্রথম যেদিন গৃহে প্রবেশ করা হয়, সেদিনটি বিচার করে গৃহপ্রবেশ করা উচিত।তবে যেগুলো বাধ্যবাধকতা মূলক নিম্নে সেগুলো বিস্তারিত বর্ননা করছি। শাস্ত্রীয় মতে, মানুষের জীবনে ৪...

একাদশী ব্রত পালনের নিয়ম

Image
একাদশী একটি চান্দ্র তিথি,পদ্মপূরাণে একাদশী প্রসঙ্গে বলা হয়েছে। একাদশী হল হিন্দু ধর্মের একটি পবিত্র উপবাস দিবস, যা চন্দ্র মাসের প্রতি পক্ষের একাদশতম (১১তম) দিনে পালিত হয়। প্রতি চন্দ্র মাসে দুটি একাদশী হয়—একটি শুক্লপক্ষের (পূর্ণিমার আগে) এবং অন্যটি কৃষ্ণপক্ষের (অমাবস্যার আগে)।  একাদশী উপবাস ও ভক্তির সঙ্গে পালন করা হয় এবং এটি সাধারণত বিষ্ণুর উপাসনার সঙ্গে যুক্ত। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে উপবাস ও প্রার্থনা করলে পাপমোচন হয় এবং আত্মিক উন্নতি সাধিত হয়। কিছু জনপ্রিয় একাদশীর মধ্যে রয়েছে:  নির্জলা একাদশী – সবচেয়ে কঠোর একাদশী, যেখানে জলসহ সম্পূর্ণ উপবাস পালন করা হয়।  পাপমোচনী একাদশী – পাপ মোচনের জন্য পরিচিত।  কামদা একাদশী – ইচ্ছাপূরণের জন্য পালন করা হয়।  বৈকুণ্ঠ একাদশী – এই দিনে ভগবান বিষ্ণুর কৃপা লাভ করা যায় বলে বিশ্বাস করা হয়। একাদশী ব্রত একাদশীর ব্রতের ধর্মীয় কাহিনী (Religious story of Ekadashi fast) একসময় ঋষি জৈমিনি তার প্রিয় গুরুদেব মহর্ষি ব্যাসদেবকে একান্ত মনে জিজ্ঞাসা  করলেন, হে গুরুদেব! একাদশী কি? একাদশীতে কেন উপবাস করতে হয়? একাদশী ব্রত করলে ক...

মহামায়া হলো দেবী দুর্গার রূপ

Image
ধর্মীয় অর্থে – হিন্দু দর্শনে মহামায়া হলেন দেবী দুর্গার এক রূপ, যিনি ব্রহ্মাণ্ডের শক্তির আধার। মহামায়া এমনি একটি শব্দ যা সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য রয়েছে। চলুন জেনে নেয়া যাক।হিন্দু দর্শনে বর্ণিত পরমেশ্বরী শক্তি হলো মহামায়া।  মহামায়া শব্দের অর্থ কি? দেবী দুর্গার মহামায়া রূপ হল তার সর্বশক্তিময়ী, মহাশক্তির প্রকাশ। "মহামায়া" শব্দের অর্থ হলো "মহান মায়া" বা "ঐশ্বরিক বিভ্রমের অধিষ্ঠাত্রী", যা সমগ্র সৃষ্টি, স্থিতি ও লয়ের নিয়ন্ত্রক। এই রূপে তিনি অসুরদের পরাস্ত করেন, ভক্তদের রক্ষা করেন এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সকল শক্তির আধার হিসেবে বিরাজ করেন।  মহামায়া হলো দেবী দুর্গার রূপ  নাগোজীভট্টী টীকা অনুসারে জানা যায়।মহামায়া'বিসদৃশ-প্রতীতি-সাধিকা ঈশ্বরশক্তি'। আবার তত্ত্বপ্রকাশিকা টীকা অনুযায়ী মহামায়াই হল “অঘটন-ঘটন-পটীয়সী ব্রহ্মাত্মিকা শক্তি”। হিন্দুদের বিশ্বাস ঈশ্বর সৃষ্টি, পালন, সংহার ও জন্ম লীলা প্রভৃতি কার্য এই মহাশক্তির সাহায্যেই সম্পাদন করেন।আর এই মহাশক্তিই দূর্গা,কালী,জগদ্ধাত্রী ইত্যাদি নামে ও রূপে ভক্তদের দ্বারা পূজিতা হয়ে থাকে। ব্রহ্মা নারদকে মহামায়া তত্ত্ব...

মা লক্ষ্মীর আটটি রূপ

Image
হিন্দু ধর্মে সম্পদ ঐশ্বর্য, ধন, সমৃদ্ধি, সৌভাগ্য প্রভৃতির দেবী হলেন মা লক্ষ্মী। ভগবান বিষ্ণুর পত্নী হলেন লক্ষ্মী তথা নারায়ণ শক্তির প্রতীক লক্ষ্মী। দুটি বা চারটি হাত বিশিষ্ট কোমল মূর্তির মা লক্ষ্মী হয়ে থাকেন। তার বসার আসনে থাকে পদ্মফুল এবং তার হাত থেকে সোনার মুদ্রা জলের মত ঝরে পড়তে দেখা যায় যা সমৃদ্ধির প্রতিক হিসেবে বিবেচিত হয়।  শাস্ত্রে অষ্টলক্ষ্মীর কথা শাস্ত্রে আছে ।  মা লক্ষীর আটটি রূপ আছে? ............................................. মাতা আদিলক্ষ্মী, মাতা ধনলক্ষ্মী, মাতা ধান্যলক্ষ্মী, গজলক্ষ্মী মাতা, মাতা সন্তানলক্ষ্মী, বীরলক্ষ্মী মাতা,  বিজয়ালক্ষ্মী মাতা ও মাতা বিদ্যালক্ষ্মী । ................................................... তবে কখনো কখনো  সংখ্যাটি হয়ে যায় দ্বাদশ।  তাই দ্বাদশ মহালক্ষীর  মাহাত্ম্য কথাই বলা ভালো। ..................... সনাতন হিন্দু ধর্মানুসারে, মহালক্ষী হলেন জীবাত্মা হতে পরমাত্মার নিত্যানন্দের সৎচিদানন্দ পরব্রহ্মের চেতনার আধার।  ................... এখানে আধারের অর্থঃ  সম্পদ ও ঐশ্বর্যের মূর্ত রুপ। জীবাত্মা হতে পরমাত্মা...

শিবরাত্রি ব্রত মাহাত্ম্য

Image
হিন্দু ধর্মালম্বীদের যতগুলো ব্রত আছে তার মধ্যে শিবরাত্রি শিব ব্রত অন্যতম কারণ মহাদেব শিব হলেন দেবাদিদেব অর্থাৎ সকল দেবের দেব । এ বছর শিবরাত্রি কবে ? ব্রতপালনের জন্য কতক্ষণ সময় পাবেন?  এবার ফেব্রুয়ারি মাসের ২৬ ফেব্রুয়ারি, বুধবার পড়েছে মহাশিবরাত্রির তিথি। ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ টা ৪২ মিনিট থেকে তিথি শুরু হবে। তিথি সমাপন পরের দিন, সকাল ৮ টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত থাকবে শিব চতুর্দশীর তিথি। শিবরাত্রি ব্রতকথা ও মাহাত্ম্য  শিবরাত্রি ব্রত  হিন্দু ধর্মের এক গুরুত্বপূর্ণ উপবাস ও পূজা, যা মহাদেব শঙ্করের প্রতি উৎসর্গ করা হয়। এই ব্রত ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয়, যাকে  মহাশিবরাত্রি  বলা হয়। এটি শিবের ভক্তদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র একটি দিন, এবং এই উপবাস ও পূজার মাধ্যমে তারা মহাদেবের কৃপা লাভ করেন। শিবরাত্রির ব্রতকথা পুরাণ মতে, একবার একজন দরিদ্র শিকারি, যিনি নিজের পরিবারের জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রতিদিন শিকার করতেন, অজান্তেই শিবরাত্রির দিন উপবাসে ছিলেন এবং রাতে এক বেল গাছের নিচে বিশ্রাম নেন। সেই রাতে, তিনি এক কূপের ধারে বসে বেলপাতা ছিঁড়ছিলেন এবং অজান্তেই সেগুলি...