Posts

Showing posts from April, 2025

শিবের মাথায় বেলপাতা ও জল ঢাললে কী লাভ হয়? (শিব চতুর্দ্দশী বিশেষ)

Image
শিব চতুর্দ্দশীতে ভগবান শিবের মাথায় জল ও বেলপাতা অর্পণ করলে কী ফল লাভ হয়? চতুর্দ্দশীতে জল ও বেল পাতা দিলে কি ফল লাভ হয় এবং কি  করনীয়?চতুর্দ্দশীতে বর্জনীয় বিষয় কি! শিবের মাথায় বেলপাতা ও জল ঢালার প্রচলন হিন্দু ধর্মের একটি গভীর আধ্যাত্মিক রীতি। এর কিছু মূল অর্থ ও লাভ হলো: শিবের প্রতি গভীর ভক্তি ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য বেলপাতা ও জল নিবেদন করা হয়। এতে ভক্ত ও ঈশ্বরের মধ্যে এক অন্তরঙ্গ সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, শিবলিঙ্গে জল ও বেলপাতা নিবেদন করলে পাপক্ষয় হয় এবং আত্মার শুদ্ধি ঘটে। বলা হয়, এই সাধনায় মানসিক শান্তি, দেহের সুস্থতা ও জীবনের বিভিন্ন বাধা দূর হয়। বেলগাছকে খুব পবিত্র মনে করা হয়। বেলপাতার তিনটি অংশ (ত্রিপত্র) শিবের তিনটি শক্তিকে (ইচ্ছা, জ্ঞান, কর্ম) প্রতিনিধিত্ব করে। শাস্ত্র অনুযায়ী, শিব সহজে সন্তুষ্ট হন ("ভোলেনাথ")। তাই যারা নিষ্ঠার সাথে এই নিবেদন করে, শিব তাঁদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন বলে বিশ্বাস করা হয়।  ব্রতকথাঃ বহু কাল আগে বারাণসী তে এক ব্যাধ ছিল।দিবারাত্রি সে শুধু জীব হত্যা করত।একদিন ব্যাধ শিকার করতে গিয়ে সারা দিনে কোন শিকার পেলোনা শেষে এক...

নারী ও পৌরহিত্ব: ধর্মীয় ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ

Image
মেয়েরা পৌরোহিত্য করতে পারে এর একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ  লক্ষ করা  যায় যে, হিন্দুধর্ম নিজেই নারীদের পুরোহিত হওয়ার অনুশীলনকে নিষিদ্ধ করে না; এমন কোন ধর্মগ্রন্থ নেই যা এটাকে অস্বীকার করে। প্রকৃতপক্ষে, প্রাচীন বৈদিক যুগে, নারীরা জ্ঞান অর্জনে পুরুষদের মতো সমান স্বাধীনতা উপভোগ করতে পরিচিত ছিল: তারা বেদও অধ্যয়ন করেছিল।" কেরালার অমৃতানন্দময়ী মঠের দুর্গা মন্দির এবং ঈশা যোগ কেন্দ্রের লিঙ্গ ভৈরবী মন্দিরে মহিলা পুরোহিত রয়েছে৷ এগুলিকে এমনভাবে পবিত্র করা হয় যে শুধুমাত্র মেয়েলি শক্তি শক্তি বজায় রাখতে পারে। তদুপরি, অমৃতানমদময়ী মঠের সন্ন্যাসী (ব্রহ্মচারিণী) হোম কুন্ডের সাথে নেতৃত্ব দেন এবং পূজা করেন। যেমন কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। নারী ও পৌরহিত্ব এই প্রশ্নের উত্তের একটি আকর্ষণীয় উত্তর দিয়েছেন মা সদগুরু।একদিন আমার মা সদগুরুর কথা শুনছিলেন যেখানে তিনি বলেছিলেন, মহিলারা হয়তো পুরুষদের রক্ষণাবেক্ষণ করছে! ঐতিহ্যগুলি ইতিহাসের একটি নির্দিষ্ট সময়ে একটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এবং প্রেক্ষাপটে বিবর্তিত হয়েছে। এটি অবশ্যই এমন কিছু নয় যা আমি অন্ধভাবে স্বীকার করব। পুরুষদের বজায় রাখার মতো কিছু নেই। নারীদে...

কামাখ্যা মন্দির সম্পর্কে অজানা তথ্য ও পূজার সময়সূচি

আসামের গুয়াহাটীর নিকট নীলাচল পাহাড়ে কামাখ্যা মন্দির অবস্থিত। ভারতের বুকে যত পুণ্যময়স্থান আছে, তার মধ্যে মহাপীঠ কামাখ্যা একটি মহাপুণ্যময় স্থান। শাস্ত্রে বলা হয়েছে কামরূপ রাজ্যে এই মহাপীঠ অবস্থিত। প্রাচীনকাল থেকেই এটি কামরূপ রাজা ও বৈচিত্রময় দেশ বলে প্রচারিত। এটা কিন্তু মনগড়া কথা নয়, তন্ত্র এবং পুরাণাদিতেও এই দেশের উল্লেখ দেখতে পাওয়া যায়। অনেকে মনে করেন কামরূপ দেশটি অসুরদের রাজ্য এবং ঐখানকার অধিবাসীরা-তন্ত্র-মন্ত্র, যাদুবিদ্যা ও বকর্মে সিদ্ধহস্ত। যেমন যটকর্ম বলতে আকর্ষণ, বশীকরণ, মোহন, স্তপ্তন, বিদ্বেষণ, উচাটন ও মারণাদি কর্মে অত্যন্ত পটু। এই সব বিদ্যা এখানকার মানুষের করতলগত হওয়ার ফলে তারা সহজেই যে কোন মানুষকে নিজের বশে রাখতে সম্ভব হয়। এখানে অনেকেই ডাকিনীবিদ্যা জানে। এই বিদ্যার সাহায্যে তারা এক জায়গার গাছ অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এইসব অনেক লোক-প্রচলিত কথা এই দেশটির সম্বন্ধে শোনা যায়। তবে এইসব জনশ্রুতি মিথ্যা বলেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না, কারণ এখনও এই দেশের অনেকস্থানে এবং বহু প্রাচীন গ্রন্থে এর উল্লেখ দেখা যায়। তবে এই সব গ্রন্থ হস্তনির্মিত। কারণ সেইন্সময় ছাপার প্রচলন ছিল না। তাই তখনকার ...

হনুমান চালিশা মন্ত্র বাংলা অনুবাদ ও হনুমান চালিশা পড়ার নিয়ম

Image
হনুমানের প্রতি নিবেদিত অওধী ভাষায় লিখিত একটি জনপ্রিয় ভক্তিমূলক চালিশা হলো হনুমান চালিশা।যা রামায়ণের অন্যতম মুখ্য ব্যক্তিত্ব  অর্থাৎ চল্লিশটি চৌপাই নিয়ে রচিত কবিতা।কবি তুলসীদাস জনপ্রিয়  এটি রচনা করেন রামচরিতমানস রচয়িতা এবং এর সাম্ভাব্য রচনাকাল ১৫৭৫ খ্রীষ্টাব্দ। চল্লিশটির মধ্যে শেষ চৌপাইটিতে তুলসিদাসের উল্লেখ সেই মতকেই সমর্থন করে। তবে ভিন্ন মতে এটি অনেক পরের রচনা । যদিও অবধী হিন্দির একটি উপভাষা মাত্র, কিন্তু শুধুমাত্র হিন্দিভাষীদের মধ্যেই নয় ভারতের অনেক অঞ্চলেরই লোক যারা হিন্দী বোঝেনা তাদের মধ্যেও প্রেরণাত্মক মন্ত্র বা স্তোত্র বা গান হিসাবে এটি লোকপ্রিয়। দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অনেক দেশেই রামায়ণের বহু চরিত্র এখোনো জনপ্রিয় এবং তাদের মধ্যেও হনুমান চালিশার ব্যবহারের উদাহরণ আছে।চ্যালিসিসের বিবরণে হান্নান তার জ্ঞানের ভিত্তিতে, রামের প্রতি শ্রদ্ধা এবং শূন্য অর্থে ব্যক্তি ভারতে খুব সম্ভবতঃ হনুমানের মন্দিরের সংখ্যা অনান্য  হিন্দু মন্দিরের  থেকে কিছুটা বেশি এবং হনুমান চালিশা জপ অন্যতম জনপ্রিয় হিন্দু লোকজনের জনপ্রিয়  একটি পাঠ্য। হনুমান চালিশা বাংলা  তুলসীদাস কর্...

মহাপুরুষ শ্রীশ্রী শঙ্করদেব: জীবনী, শিক্ষা, ও অবদান

Image
আজি হতে প্রায় ষোল পুরুষ পূর্বে বর্তমান আসামের নগাঁও জেলায় শ্রীশ্রী-শঙ্করদের আবির্ভূত হন। তিথিটা ছিল আশ্বিন মাসের শুক্লা দশমী। প্রায় ৫০০ বৎসর অতীত হইলেও আজও স্ত্রীস্ত্রী-শস্তরদেবের আবির্ভাবোৎসব মহাসমারোহে সমগ্র আসামে পালিত হয়।। প্রায় ষষ্ঠ শতাব্দীতে উত্তর ভারতে তখন ভাগবত ধর্ম প্রচারিত হচ্ছিল এবং তখন পাল বংশ রাজত্বে বিষ্ণু এবং শিব পূজা প্রচলন ছিল। শ্রীশ্রীশঙ্করদেব এই সময় এখানে বৌদ্ধধর্মাবলম্বীর কিছু মানবের প্রমাণও পাওয়া যায়। একাদশ শতাব্দীর শেষভাগে তখন দেশে শক্তিপুজা প্রবল হয়ে ওঠে। এই সময়কালে বৌদ্ধ মতাবলম্বী বিকৃত তন্ত্রের এবং কিছু তান্ত্রিক বৌদ্ধ হয়ে ওঠে। তাঁরা বৌদ্ধদেবীর পূজা বৌদ্ধ মতেই চলিবার জন্য দাবি করে। ইহার উপর কিছু বৌদ্ধ সামান্য কিছু ভাগবত্ শিক্ষা করিয়া পূর্ণরূপে আদি সম্প্রদায় সৃষ্টি করে। এই সময় দেশের মধ্যে রাষ্ট্র বিপ্লব দেখা দেয়, স্তন্ত, পাল, খেন, ভূঁঞা, সূতিয়া, আহোম, কছারী, কোচ প্রভৃতি বহু রাজবংশের উত্থান পতনের ফলে এবং ভারতের পশ্চিমাংশে পাঠান। মোগলের দাঙ্গার সময় বহু মানুষ এই দেশে এসেছিল এবং ইহার ফলে সেই সময় সামাজিক রীতিনীতি এবং ধর্মমত সম্বন্ধে নানা ঘাত-প্রতিঘাত শুরু হয়ে যায়। ...

শিবপূজার সঠিক বিধি ও নিয়ম - সম্পূর্ণ গাইড

Image
শিব হলেন স্বয়ং মহাদেব যাকে আমরা মহাদেব ভোলানাথ হিসেবে জানি। আর এই মহাদেব বা শিব হলেন সৃষ্টি, স্থিতি ও সংহারের একমাত্র অধিকারী। শিবের পূজা এজন্য ফলপ্রদ হয়ে থাকে। এই পূজা সাধারণত সোমবার, মহা শিবরাত্রি ও প্রদোষ কালে হয়ে থাকে। মুক্তিকা নির্মিত শিবপূজা বিধি (দুইটি শিবলিঙ্গ একত্র রাখিয়া পূজা করিবেন না। একটির পুজা হইলে পরে আর একটি নির্মাণ করিয়া পুজা করিবেন)। শিবপূজার সঠিক বিধি অঙ্গুষ্ঠ পরিমিত সব শিবলিঙ্গ নির্মাণ করিয়া উত্তরদিকে পিনাক স্থাপন ও বিশ্বপত্রদ্বারা তদগাত্রমার্জনপূককে ঐ পরের মধ্যদলের সোজা পৃষ্ঠের উপর বসাইবেন (তাম্র, কাংস্য, স্বর্ণ বা রৌপ্য পাত্রে শিবপূজা প্রশস্ত) ও স্বয়ং উত্তরাস্য হইয়া বসিবেন। ভস্ম বা মৃত্তিকা দ্বারা কপালে রিপুশুক (অর্থ চন্দ্রাকৃতি) এবং রুদ্রাক্ষের মালা ধারণ করিয়া শিবপূজা করিবেন। ও হরায় নমঃ বলিয়া শিবের মস্তকে কিঞ্চিৎ জল দিয়া বজ্র নামাইয়া পিনাকের উপর রাখিবেন। ও মহেশ্বরায় নমঃ বলিয়া শিবের মস্তকটি একটু টিপিয়া গঠন করিবেন। ও শূলপাণে ইহ সুপ্রতিষ্ঠিতো ডব বলিয়া লিঙ্গের উপর আতপ চাউল দিয়া প্রতিষ্ঠা করিবেন। শিবের ধ্যান -ও ধ্যায়েন্নিত্যং^ মহেশং রজতগিরিনিভং_- চারু...

বৈষ্ণব নিন্দা করা কি পাপ? এর আধ্যাত্মিক প্রভাব জানুন!

Image
আপনার নিজের মনের ভুলেও কখনো বৈষ্ণবদের নিন্দা করবেন না কারণ কিছু কিছু পাপের কখনো ক্ষমা হয় না আর এই পাপগুলোর মধ্যে বৈষ্ণব নিন্দা করা একটি পাপ অন্যতম।উদাহরণ হিসেবে বলা যায়  বৈষ্ণব নিন্দা করলে আপনি শুদ্ধ উচ্চারণ করতে ব্যর্থ হবেন। তাই আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে যেন আমরা কখনো বৈষ্ণবদের নিন্দা বা ঘৃনার চোখে না দেখি। চলুন, বৈষ্ণব নিন্দা নিয়ে বিস্তারিত ধর্মীয় আলোচনা জেনে নেওয়া যাক। বৈষ্ণব নিন্দা চার প্রকারের হয়ে থাকে। যথাঃ- ১/নীচকুলোদ্ভুত বলে নিন্দা করা এটি বৈষ্ণব নিন্দার প্রথম ধাপ। ২/পূর্বের দোষের দরুন নিন্দা করা এটি বৈষ্ণব নিন্দার দ্বিতীয় ধাপ। ৩/আকস্মিক দোষের জন্য নিন্দা করা এটি বৈষ্ণব নিন্দার তৃতীয় ধাপ। ৪/প্রায় দোষমুক্ত অবস্থায় নিন্দা করা এটি বৈষ্ণব নিন্দার সর্বশেষ ধাপ। বৈষ্ণব নিন্দা করা কি পাপ শ্রীহরিনাম চিন্তামণি বলেছেন এসব গুরুতর বৈষ্ণব অপরাধ। প্রায় ক্ষমার অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত। জাতি, ধর্ম বা বর্ণ নির্বিশেষে, প্রতিটি ভক্তেরই উচিত অন্য ভক্তের প্রশংসা করা—এটাই একজন সত্যিকারের ভক্তের প্রধান কর্তব্য। কাউকে কখনো উপহাস করা ঠিক নয়। যেন কোনো ভক্তের প্রতি আমরা কোনো অপরাধ না করি, সে ...

গণেশষষ্টোত্তর শতনাম স্তোত্রম্ – ১০৮ নাম সহ পাঠ ও গুরুত্ব

Image
শ্রীশ্রীগণেশ, শিব ও দুর্গা। গণেশের প্রণাম মন্ত্র-(ও) দেবেন্দ্র মৌলিমন্দার মকরন্দকণারুণাঃ নিম্নং হরন্তু হেরম্বং চরণাম্বুজরেণবঃ। ভিন্ন প্রকার-একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদরং গজাননম্। বিঘ্নবিনাশকং দেবং হেরম্বং প্রণমাম্যহম্। গণেশের ধ্যান-খর্ব্ব স্থূলতনুং গজেন্দ্রবদনং লম্বোদরং সুন্দরং, প্রসান্দম্মদগন্ধ-লুব্ধ-মধুপ-ব্যালোল গণ্ডস্থলম্। দস্তাঘাতবিদারিতারি-রুধিরৈঃ সিন্দুর শোভাকরং, বন্দে শৈলসুতাসূতং গণপাতিং সিদ্ধিপ্রদং কামদম্।। গণেশষষ্টোত্তর শতনাম স্তোত্রম্ মন্ত্র-(ও) গাং গণেশায় নমঃ। বীজ মন্ত্র-গাং। গণেশোষ্টোত্তর-শতনাম-স্তোত্রম্ যম উবাচ। গণেশ হেরম্ব গজাননেতি মহোদয় স্বানুভব প্রকাশিন। বরিষ্ঠ সিদ্ধিপ্রিয় বুদ্ধিনাথ বদন্তমেবং ত্যজত প্রভীতাঃ ॥১॥ অনেকবিঘ্নান্তক বক্রতুণ্ড স্বসঙ্গবাসিংশ্চ চতুর্ভুজেতি। কবীশ দেবাস্তকনাশকারিন বদস্তমেবং ত্যজত প্রভীতাঃ ॥২॥ মহেশসুনো গজদৈত্যশত্রো বরেণ্যসুনো বিকট ত্রিনেত্র। পরেশ পৃথ্বীধর একদন্ত বদস্তমেবং ত্যজত প্রভীতাঃ ॥৩॥ প্রমোদ মোদেতি নরান্তকারে যডুর্মিহন্তর্গজকর্ণটুণ্ডে। দ্বন্দ্বারিসিদ্ধো স্থিরভাবকারিন বদন্তমেবং ত্যজত প্রভীতাঃ ॥৪॥ বিনায়ক জ্ঞানবিঘাতশত্রো পরেশ শর্ব্বায়জ বিষ্ণুপুত্র। অন...

১৪৩২ সনের বৃষ্টিপাতের হিসাব ও পূর্বাভাস; পঞ্জিকা অনুসারে

Image
মদন গুপ্তের পঞ্জিকা অনুযায়ী ১৪৩২ সনের বৃষ্টিপাতের গণনা ও সঠিক তথ্য জেনে নিন, নিচে কোন মাসে কি রকম বৃষ্টি হবে বা বৃষ্টি হবে কিনা সে সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করা হলো: বৈশাখ— স্বাভাবিক কারণেএই মাসে রৌদ্রের প্রখরতা বর্ধিত হয় এবং বুধ ও শুক্রের রাশ্যান্তর এবং বুধ বত্রুী ও বত্রুী বুধের অস্ত জন্য  পরিলক্ষিত হয় বৃষ্টিযোগ।  জ্যৈষ্ঠ—–সৌর জ্যৈষ্ঠ মাসে গ্রীষ্মের প্রখরতা অনুভূত হয় এবং মঙ্গল, বুধ, রাজ, কেতু ও শুক্রের রাশি পরিবর্তন এবং বত্রুী বুধের উদয় ও বুধের বক্রত্যাগ এবং শনি বত্রুী হেতু প্রায়শঃই বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা যায়।  ১৪৩২ সনের বৃষ্টিপাতের গণনা আষাঢ়-এই নাসের ৭ই রবির আর্দ্রোনক্ষেত্রে প্রবেশ মঙ্গল বুধ ও শুক্রের রাশি সঞ্চার এবং বুধের অন্তমিত জন্য বৃষ্টিযোগ দেখা যায়। শ্রাবণ–এই মাসে সাধারণতঃ অধিক বৃষ্টি হয় তবে বুধ, মঙ্গল ও শুক্রের রাশ্যান্তর জন্য এবং বুধের উদয়, গুরুর বত্রুী এবংশুক্রের বার্ধক্য হেতু ভারী বৃষ্টির যোগ দেখা যায়। ভাদ্র--এই মাসে বুধ ও শুক্রের রাশি পরিবর্তন এবং বুধ বক্রী এবং শুক্র ও বক্রী বুধের অন্তমিত ও রাশি পরিবর্তন জন্য বৃষ্টিযোগ সুচিত হয়।  আশ্বিন—...

"সতীর দেহত্যাগ ও একান্ন শক্তিপীঠ: পৌরাণিক কাহিনী, ইতিহাস ও তাৎপর্য

Image
আদ্যা শক্তি মহামায়া কে কন্যা রূপে পাওয়ার জন্য ব্রহ্মার পুত্র দক্ষ প্রজাপতি শুরু করেছিলেন এক কঠিন তপস্যা। আর এই তপস্যায় তুষ্ট হয়ে মহামায়া দক্ষ প্রজাপতির ঘরে অপরূপ এক কন্যা রূপে আসবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেন কিন্তু যদি কোনদিন কোনরকমভাবে তাঁর অনাদর হয়, তিনি দেহত্যাগ করবেন। কার্যতঃ- হলোও তাই। দক্ষনন্দিনী সতীর বিবাহ হলো দেবাদিদেব মহাদেবের সঙ্গে। দক্ষের প্রবল অহঙ্কার আধিপত্যের জন্য মহাদেবের সঙ্গে হলো দক্ষের বিবাদ। একবার দক্ষ বিরাট এক যজ্ঞের আয়োজন করেন। সেই অনুষ্ঠানে নিজ কন্যা ও জামাতাকে তিনি আমন্ত্রণ জানালেন না। কিন্তু সতী পিতৃগৃহে এতবড় যজ্ঞের আয়োজন শুনে যাবার জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠলেন। মহাদেবের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও সান্তী সেই যজ্ঞানুষ্ঠানে হাজির হলেন। দীর্ঘদিন পর পিতা পুত্রী সাক্ষাৎ হলেও দক্ষ নিজ কন্যাকে কোন আদর আপ্যায়ণ করলেন না, পরন্ত শিব নিন্দায় মুখর হয়ে উঠলেন। পিতার মুখে এরূপ স্বামী নিন্দা সহ্য করতে না পেরে সতী দেহত্যাগ করলেন। এদিকে মহাদেব সতীর দেহত্যাগের সংবাদে প্রচণ্ড ক্ষুত্ত হয়ে নিজের জটাজাল ছিন্ন করে সৃষ্টি করলেন শক্তিশালী বীরভদ্রকে। বীরভদ্র মহাদেবের নির্দেশে লণ্ডভণ্ড করলেন দক্ষে...