শিব পূজায় বেল পাতার ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঐতিহ্যগতভাবে মহাদেব শিবের আরাধনায় বেলপাতা বিশেষ একটি স্থান অধিকার করে রয়েছে। শিবের পছন্দের তালিকায় বেলপাতা বা বেল ফল 'পত্র' হিসেবে পরিচিত এবং এটি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয় শিব আরাধনা ও শিবপূজায়।
বেলপাতা শিবের প্রিয় হওয়ার কারণ?
বেলগাছের পৌরাণিক জন্মকথা লক্ষ্মীর মন বড় উচাটন হল বৈকুণ্ঠে সেদিন,কি যেন কারনে সেটা ঘটেছিল সেদিন লক্ষ্মীর । মনে ভয়ানক আক্ষেপ জাগল তাঁর, তিনি যে স্বামী নারায়ণের নিত্য সেবা, নৈমিত্তিক সাধনায় নিজেকে সমর্পণ করেছেন; তাতে বুঝতে পারেন যে, স্বামী তাঁকে ভালোবাসেন। কিন্তু ত্রিজগতের সমস্ত কিছুর উপরে তাঁকেই প্রিয় মনে করেন কিনা, তা তো তিনি বুঝতে পারেন না! যতই এই ভাবনা বুকের ভেতর উথাল-পাথাল হতে থাকল, ততই মনের মধ্যে অশান্তির জোয়ার বাড়তে লাগল। মনের সেই ওঠাপড়ার মধ্যে একসময় লক্ষ্মী এসে বসলেন স্বামীর পাশে, যিনি অনন্ত শয্যায় যোগনিদ্রিত ছিলেন। ধীরে ধীরে পদধ্বনি নিয়ে, তিনি স্বামীর পায়ের কাছে আসলেন। নিঃশব্দে শুরু করলেন পদসেবা, যেন সেই স্পর্শে তাঁর স্নেহ ও শ্রদ্ধা মিশে রয়েছে। নারায়ণ ধীরে ধীরে চোখ মেললেন, কোমল দৃষ্টিতে তাকালেন লক্ষ্মীর দিকে। দেখতে পেলেন—চিন্তায় গোমরা মুখ, যেন কোথাও হারিয়ে গেছেন তিনি।
 |
শিব পূজায় বেল পাতার ব্যবহার |
স্নিগ্ধ কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলেন,“কী ভাবছো লক্ষ্মী? কী এমন কষ্ট যে তোমার মুখে ছায়া পড়েছে? লক্ষ্মী একটু ইতস্তত করলেন। বুকের গভীরে জমে থাকা আবেগ আর চাপতে পারলেন না। ধীরে ধীরে বলে ফেললেন মনের কথাগুলো। নারায়ণ তখন হালকা হেসে, ভালোবাসায় ভরা কণ্ঠে বললেন—“যেমন প্রাণ মানুষের কাছে অমূল্য, তেমনি তুমি আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয়, লক্ষ্মী। কিন্তু সত্যি বলতে কি, সবার চেয়ে সবকিছুর ওপরে প্রিয় যদি কেউ হন, তিনি হলেন একমাত্র সত্যসুন্দর শিব। আর যাঁরা ভক্তিভরে পুজো করেন, তাঁরা আমার কাছে শিবের সমান প্রিয় হন।’ নারায়ণের কথা শুনে মাথা নীচু করে কিছু সময় নীরব রইলেন লক্ষ্মী। তারপর তিনি ছলছল চোখে নারায়ণকে বললেন যে, তিনিও শিবপুজো করে, শিবভক্ত হয়ে তাঁর কাছে শিবের সমান প্রিয় হতে চান। এই কথা শুনে নারায়ণ অত্যন্ত প্রসন্ন হলেন। তিনি লক্ষ্মীর চোখ থেকে অশ্রু মুছে দিলেন এবং তাঁর কানে শিবের প্রিয় পঞ্চাক্ষর মন্ত্র ‘নমঃ শিবায়’ পাঠ করলেন। তিনি শিবলিঙ্গ স্থাপন করার উপদেশ দিলেন এবং একশোটি পদ্ম সংগ্রহ করে নিয়মিত পুজো করার কথা বললেন। নারায়ণের নির্দেশে, বৈকুণ্ঠে নিজে স্বয়ং লক্ষ্মী সোনা দিয়ে শিবের লিঙ্গরূপ নির্মাণ করলেন। এরপর রত্নময় মন্দির তৈরি করে, সেই লিঙ্গমূর্তি প্রতিষ্ঠা করলেন। পরবর্তী সময়ে সরোবর থেকে একশোটি পদ্ম চয়ন করে, একটিরও কম বা বেশিও নয়, সেগুলো সাজিয়ে থালায় রেখে শুরু করলেন শিবের নিয়মিত পুজো। এক বছর পর, বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে, লক্ষ্মী স্বাভাবিকভাবে পদ্ম চয়ন করে থালায় সাজিয়ে পুজো শুরু করলেন। তাঁর চোখ বন্ধ, তিনি গভীর ধ্যানে মগ্ন। সেই সময়, শিব ভক্তিকে পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে পুজোর থালা থেকে দুটি পদ্ম সরিয়ে দিলেন। ধ্যানে মগ্ন থাকার পর, যখন লক্ষ্মী অঞ্জলি দিতে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁর চোখে পড়ল যে পুরো একশোটি পদ্ম নেই—দুটি পদ্ম কম রয়েছে। ইস, গণনায় এত বড় ভুল হয়ে গেল! এখন পুজো সম্পূর্ণ হবে কীভাবে? সরোবর থেকে আরও দুটি পদ্ম সংগ্রহ করতে কাউকে বলবেন? কিন্তু এও তো সম্ভব নয়, যেহেতু নিজের হাতে চয়ন করা পদ্ম দিয়ে পুজোর ব্রত শুরু করেছেন, তাহলে সেটি ভঙ্গ হবে! পুজোর মাঝে যদি নিজের আসন ছেড়ে উঠে যান, তবে শিবের অপমান হবে! এবার কী করবেন? যখন কোন পথ খুঁজে পাচ্ছিলেন না ব্যাকুল লক্ষ্মী , তখন তাঁর মনে পড়ে গেল একটি কথা বিষ্ণুর, যেখানে তিনি দুটি যুগল পদ্মের সাথে তুলনা করেছিলেন লক্ষ্মীর স্তন। ভগবান বিষ্ণুর বাক্য কখনও মিথ্যা হয় না, অন্তরে গভীরভাবে গাঁথা এই বিশ্বাস ছিল লক্ষ্মীর। তাঁর আদেশ পালনেই ছিল পুজোর পরিপূর্ণতা। তাই দেবী লক্ষ্মী সংকল্প নিলেন—নিজের পদ্মসদৃশ স্তনদ্বয় উৎসর্গ করেই পূর্ণ করবেন সেই পুজো। নির্ধারিত মন নিয়ে তিনি নিজের বাম স্তন কেটে অঞ্জলি দিলেন মহাদেবকে। তাঁর এই অসীম আত্মোৎসর্গ দেখে শিব গভীর অনুশোচনায় ভরে উঠলেন। মনে হল—যদি আগে জানতেন, তবে দুটি পদ্ম হরণ করলেই ভালো হতো, অন্তত এমন ত্যাগ দেখতে হতো না। কিন্তু লক্ষ্মী তখনও থেমে যাননি। তিনি যখন ডান স্তন কাটতে উদ্যত হলেন, তখন আর শিব স্থির থাকতে পারলেন না। সেই মুহূর্তেই তিনি সম্মুখে আবির্ভূত হয়ে দেবীকে বাধা দিলেন—ভক্তির এই চরম পরিণতিতে যেন ঈশ্বর নিজেই নত হয়ে গেলেন। বললেন, মা তোমার স্ত্রীঅঙ্গ ছেদন করে আমায় তুমি অনুতপ্ত করেছ। প্রসন্নও করেছ। বল মা, তুমি কি বর চাও? লক্ষ্মী তাঁকে প্রণাম করে বললেন,হে দেবাদিদেব! আশীর্বাদ করুন, আমি যেন আমার স্বামীর সবচেয়ে প্রিয় হতে পারি। শিব তখন মৃদু হেসে বললেন, ‘তাই হবে, মা। আমার আশীর্বাদে তোমার অঙ্গও তুমি ফিরে পাবে। আর তোমার এই বলিদানের কথা ত্রিজগতে কেউ কোনদিন ভুলতে পারবে না। কারণ, তোমার ঐ অঙ্গ থেকে ধরায় জন্ম হবে ‘বেল’ নামক বৃক্ষের। তার পত্র হবে আমার ত্রিনয়ন। ফল হবে তোমার কৃত-উৎসর্গ অঙ্গের অনুরূপ।
তোমার ‘শ্রী’ নাম স্মরণ করে, লোকেরা এই বৃক্ষটিকেও ‘শ্রী’ বলে আখ্যায়িত করবে, এর পত্রকে বলা হবে ‘শ্রীপত্র’ এবং এর ফলকেও বলা হবে ‘শ্রীফল’। ততদিন এই বৃক্ষও পৃথিবীতে থাকবে যতদিন আকাশে চন্দ্র-সূর্য থাকবে। আমি হব পরম তুষ্ট এর পত্রে শিবের পূজা পেয়ে । শিবের অনুগ্রহে এভাবেই বৈশাখ মাসের তৃতীয়া তিথিতে, পত্রপুষ্প ও ফলসহ বেলবৃক্ষ পৃথিবীতে জন্ম গ্রহণ করল এবং বেলপত্র হয়ে উঠল শিব পুজোর অপরিহার্য অর্ঘ্য বটে। শিব পুরাণ, শ্রীকৃষ্ণ দ্বৈপায়ন বেদব্যাস থেকে সংগৃহীত। আপনি জানেন কি শিব পুজোয় কেন বেলপাতা লাগে ? শিব পুজোয় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো বেলগাছের বেলপাতা । এই পাতা কেন জানি মহাদেব শিবের খুবেই প্রিয়।কিন্তু প্রিয় হওয়ার কারণ কি ? মহা শিবরাত্রির ব্রতকথাতে শিব ও মা পার্বতীর বেলগাছে অবস্থানের কথা রয়েছে ।যেইখান থেকে বেলপত্র পড়েছিলো ও শিব কে প্রসন্ন করে ব্যাধ বর লাভ করে । বিশেষ করে তিন মুখ বেলপাতা যা শিবের ত্রিনয়নের প্রতীক বেলপাতা ।এছাড়াও মস্তিস্ককে ঠান্ডা প্রদান করে বেলপাতা । আমরা জানি সব সময় উত্তপ্ত রুদ্র বা শিব । তাই জল ঢালা হয় তার মাথায় । এই বেলপাতা তাকে শীতলতা প্রদান করে । তাই এইপাতা তাকে দেওয়া দরকারি ।শিবকে বেলপাতা দিয়ে তা নিজের কাছে নিয়ে রাখুন দেখবেন নিজেও শান্তি পাবেন ।তাই শিব এর মাথায় জল দেবার সময় তাকে বেলপাতা দিন ।তবে তা যেন পরিষ্কার ও নিখুঁত হয় । আসলে সবকিছুই এসেছে আমাদের জন্য ।মানে আমাদের মনোভাব কে সঠিক পথে চালিত করতে। ভক্তির পথ বা সাধনার পথ হলো এমন এক পর্যায় যেখানে দেখা হয় , কোন জিনিস তা আমাদের সবথেকে বেশি উন্নতি সাধন করতে পারবে । বেলপাতাও এখানে সেইরকম। পুরোটাই হলো পরীক্ষনীয় এই সাধনার পথ ।যেমন তুলসী ও নিম দুটি হলো ওষুধি গাছ কিন্তু একটি সর্দি কাশি আর অপরটি কির্মি সারাতে লাগে কাজে। কিন্তু দুটি আসছে একই মাটি দিয়ে। কিন্তু উপযোগিতা তাদের আলাদা । আপনি পুজোর সময় শাড়ী পেতে বসতে পারেন আবার পলিথিন পেতেও বসতে পারেন কিন্তু ভালো হয় যখন আসন পান । এইরকমই হলো ব্যাপার । শিবের সাধনার সাথে জড়িত হলো বেলপাতা ।এই পৃথিবীর মানুষকে আরও বেশি বেশি মহাদেব সাধনা ও আরোধর দিকে ধাবিত করে এসব কিছুর প্রয়োগের মাধ্যমে।
শিবপূজায় বেলপাতার ব্যবহার
পুরাণ অনুসারে, শ্রাবণ মাসেই সমুদ্র মন্থনের সময় মহাদেব বিশ্বের কল্যাণে হলাহল বিষ পান করেছিলেন। বিষের প্রভাবে তাঁর গলা নীলবর্ণ ধারণ করায় তিনি 'নীলকণ্ঠ' নামে পরিচিত হন। এই মহৎ ত্যাগের মাধ্যমে তিনি সৃষ্টিকে রক্ষা করেছিলেন, তাই তাঁকে 'সৃষ্টির রক্ষাকর্তা' বলা হয়। মহাদেবের শরীরে বিষের প্রভাবে তাপমাত্রা অত্যধিক বেড়ে গিয়েছিল, যা পরিবেশে দাহ্য অবস্থার সৃষ্টি করেছিল। তখন দেবতারা বেলপাতা দিয়ে শিবকে শীতল করেছিলেন। ধীরে ধীরে তাঁর শরীরের উত্তাপ কমে আসে, এবং সেই থেকে শিবের পুজোয় বেলপাতার ব্যবহার শুরু হয়। বেলপাতার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে, তবে এটি দিয়ে পুজো করার সময় কিছু নিয়ম অনুসরণ করা আবশ্যক:শিবলিঙ্গে বেলপাতা ও জল ঢাললে তা তাঁকে শান্ত রাখে। বেলপাতায় অবশ্যই তিনটি পাতা থাকতে হবে। পাতার মসৃণ দিক শিবলিঙ্গের দিকে রাখতে হবে। বিকৃত বা ক্ষতিগ্রস্ত বেলপাতা কখনই ব্যবহার করা উচিত নয়। প্রথমে পরিষ্কার জল দিয়ে, তারপর গঙ্গাজল দিয়ে বেলপাতা ধুয়ে শিবলিঙ্গে অর্পণ করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। বেলপাতা ও জল অর্পণের সময় "ওম নমঃ শিবায়" মন্ত্র জপ করলে সকল বিপদ থেকে মুক্তি মেলে।
বিশেষ সতর্কতা: যদি আপনি নিজে বেলগাছ থেকে পাতা তুলতে চান, তবে শিবের বিশেষ মন্ত্র জপ করে তবেই পাতা সংগ্রহ করা উচিত। এই নিয়মগুলি মেনে পুজো করলে মহাদেবের বিশেষ কৃপা লাভ করা যায়।
‘অমৃতোদ্ধব শ্রী বৃক্ষ মহাদেবত্রিয় সদা।
গৃহণামি তব পত্রাণি শিবপূজার্থমাদরাৎ।।’
সত্ব, রজ ও তম গুণের প্রতীক শিবের প্রিয় তিন পাতাযুক্ত বেলপাতা। নিম্নলিখিত বেলপাতা অর্পণ মন্ত্র উচ্চারণ করে বেলপাতা অর্পণ করা উচিত;
‘ত্রিদলং ত্রিগুণাকরং ত্রিনেত্র ব ত্রিধাযুতম।
ত্রিজন্ম পাপ সংহারং একবিল্বম শিবার্পণম্য।।’
বেলপাতার ওষুধি গুণ রয়েছে সেগুলো থেকে কিছু বলছি তবে খারাপ ভাবে নেবেন না কারণ এটা বৈজ্ঞানিক মতবাদ রয়েছে , দরকারি হলে প্রয়োগ করে দেখতে পারেন -
১) মহাদেব ও বেল পাতার যোগসূত্র
বেদ অনুযায়ী, সমুদ্র মন্থনের সময় মহাদেব যখন বিষ পান করেন, তখন তাঁর শরীর জ্বলে উঠতে থাকে। সেই তীব্র জ্বালা কমাতে বেল পাতার রস তাঁকে দেওয়া হয় এবং বেলের গাছের ছাল ঘষে গুঁড়ো করে শরীরে প্রয়োগ করা হয়। বেলের বাকল চন্দনের মতো ঠান্ডা, তাই এটি প্রাকৃতিক শীতলকারক হিসেবেও পরিচিত। এই কারণে বেল পাতা মহাদেবের অত্যন্ত প্রিয়।
পরবর্তীতে বৈজ্ঞানিক গবেষণায়ও দেখা গেছে, বেল পাতা রেডিও-প্রটেক্টিভ, অর্থাৎ এটি তেজস্ক্রিয়তার ক্ষতিকর প্রভাব থেকে কিছুটা সুরক্ষা দিতে সক্ষম।
২) স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বেলপাতা
যদি আপনি স্মৃতিশক্তি দুর্বলতার সমস্যায় ভোগেন, তাহলে ৩ গ্রাম পরিমাণ শুকনো বেলপাতা চূর্ণ মধুর সঙ্গে মিশিয়ে সেবন করুন। নিয়মিত সেবনে উপকার পাবেন।
৩) ক্যালসিয়াম ঘাটতি মেটাতে প্রাকৃতিক উপায়
যাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব রয়েছে, তারা বেলপাতা ও ধনেপাতা সমপরিমাণ নিয়ে গুঁড়ো করে জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে এবং রাতে শোবার আগে এই জল পান করুন। এটি শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে।
৪) হজম ও গ্যাস্ট্রিক সমস্যা সমাধানে
বেলপাতা গ্যাস, বদহজম, কফ, কৃমি ও মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে অত্যন্ত কার্যকর।
এছাড়াও, প্রতিদিন সকালে ৭টি বেল পাতা চিবিয়ে জল পান করলে স্বপ্নদোষের সমস্যাও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে আসে।
৫) ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য উপকারী
মধুমেহ বা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে বেলপাতা প্রাকৃতিক ওষুধের মতো কাজ করতে পারে। প্রতিদিন সকালে ৫টি বেল পাতা ও ৫টি গোলমরিচ খেলে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
৬) মাথার অতিরিক্ত উত্তাপ কমাতে
যদি আপনার মাথা অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় বা মানসিক চাপ বেড়ে যায়, তাহলে বেলপাতাকে পেস্ট করে ঠান্ডা জলে ভিজিয়ে মাথায় লাগান। এটি মস্তিষ্ককে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে এবং মানসিক প্রশান্তি দেয়।
পরিশেষে বলা যায় শুধুমাত্র শিবই নন, প্রায় সমস্ত পূজা অর্চনায় বিল্বপত্রের আবশ্যিক ব্যাবহার কি আপনাকে কখনো ভাবিয়েছে? তাহলে চলুন পৌরাণিক ইতিহাস জেনে নেওয়া যাক বিল্ববৃক্ষের। বিল্ববৃক্ষ মাহাত্ম্য বর্ণনায় বলা হচ্ছে-মাঝখানের পাতাটি শিব স্বরূপ বিল্বপত্রের ত্রিফলক পত্রের ।পডান পত্র স্বরূপ বিষ্ণু এবং বাম পত্র ব্রহ্মা স্বরূপ। তাই বিল্ববৃক্ষের ছায়া মাড়ালে আয়ু নাশ হয়; এবং শ্রী তথা লক্ষ্ণী নাশ হয় বিল্ববৃক্ষে পা দ্বারা স্পর্শ করলে। বিল্ববৃক্ষের বন যেই স্থানে থাকে তা বারণসী পুরী স্বরূপ।।আসুন আমরাও বেলগাছ, পাতা ও ফলের সমাদর করি। এছাড়াও নিয়মিত বিল্ববৃক্ষের প্রণাম মন্ত্র পাঠ করি পরমেশ্বরের কৃপা লাভ করার জন্য।
নমো বিল্বতরবে সদা শঙ্কররূপিণে।
সকলানি_মমাঙ্গানি ^কুরুস্ব শিবহর্ষদ।।
#ট্যাগ
বেলপাতা শিবের এত প্রিয় কেন,বেলপাতা কেনো শিবের প্রিয়,বেলপাতা ছাড়া কেন শিবের পূজা হয়না?,বেলপাতা শিবের প্রিয় কেন,মহাদেবকে সন্তুষ্ট করতে কেন বেলপাতা আবশ্যক,কেন শিব বেলপাতায় সন্তুস্ট,বেলপাতা শিবের এত প্রিয় কেন,বেলপাতা শিবের এত প্রিয় কেন?,বেলপাতা মহাদেবের সম্পর্ক,শিবের প্রিয় বেলপাতা,বেলপাতা ছাড়া কেন শিবের পূজা হয়না,
Comments
Post a Comment