Posts

Showing posts with the label নিত্যকর্ম

হিন্দুধর্মের সকল ধর্মীয় আচার ও রীতিনীতি – বিস্তারিত তথ্য ও তাৎপর্য

Image
হিন্দু ধর্মে বিভিন্ন রীতি, আচার ও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ধর্মীয় জীবনচর্চা প্রকাশ পায়। এগুলোর মাধ্যমে দৈনন্দিন জীবন, উৎসব, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটে। হিন্দুধর্মীয় রীতি ও আচার অনুষ্ঠানগুলো শত শত বছর ধরে চলে আসা এক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা। এগুলোর মধ্যে ধর্মীয়, পারিবারিক ও সামাজিক বিভিন্ন দিক জড়িয়ে আছে। নিম্নে কিছু প্রধান হিন্দু ধর্মীয় রীতি ও আচার নিচে দেওয়া হল: হিন্দু ধর্মের কিছু আচার ও অনুষ্ঠান হিন্দু ধর্মের কিছু আচার ও অনুষ্ঠান  দৈনন্দিন আচার /নিত্য ক্রিয়া প্রাতঃক্রিয়া:সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান, সূর্য নমস্কার, ধ্যান ও প্রার্থনা করা। ঘরে বা মন্দিরে দেবদেবীর মূর্তি বা প্রতীকের সামনে দীপ, ধূপ, ফুল ও নৈবেদ্য নিবেদন। জব করতে হবে ওঁম্, গায়ত্রী মন্ত্র বা ইষ্টদেবতার মন্ত্র জপ করা। ভগবদ্গীতা বা বেদ পাঠ করতে হবে। হিন্দু ধর্মে মোট সংস্কার (১৬টি সংস্কার) হিন্দু ধর্মে জীবনচক্রের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে ১৬টি সংস্কার (সংস্কার)পালন করা হয়,যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: গর্ভাধান:সন্তান ধারণের পূর্বে অনুষ্ঠান। পুংসবন:গর্ভস্থ সন্তানের মঙ্গল ক...

আরতি কি এবং কেন করবেন? সহজ ধাপে আরতি করার পদ্ধতি

Image
আরতি কি? "আরতি" সাধারণত হিন্দু ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দেবতা বা ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত ভক্তিমূলক সঙ্গীত বা স্তুতি বোঝায়। এটি প্রার্থনার একটি বিশেষ রূপ, যেখানে প্রদীপ বা দীপ জ্বালিয়ে দেবতার সামনে নাচানো হয়, সাথে ভক্তিগীতি গাওয়া হয়। আরতি ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের একটি মাধ্যম। সাধারণত একটি থালায় বা দীপস্তম্ভে (আরতি ডিশ) ঘি বা তেলের প্রদীপ, ফুল, ধূপ ইত্যাদি রাখা হয় এবং তা দেবতার সামনে বৃত্তাকারে ঘোরানো হয়। বিভিন্ন দেবদেবীর জন্য আলাদা আরতি গান রয়েছে, যেমন—"জয় গণেশ দেবা" (গণেশের আরতি), "ওম জয় জগদীশ হরে" (বিষ্ণু বা কৃষ্ণের আরতি) ইত্যাদি আরতি গান।আরাত্রিকের আরেক নাম 'নীরাজন', যা সাধারণ ভাষায় 'আরতি' হিসেবে পরিচিত। দেবদেবীর আরতি করলে, পূজার মধ্যে যে কোনো ত্রুটি থাকলে তা দূর হয় এবং পূজা সফল হয়। আরতি কি এবং কেন করবেন?  আরতি কেন গুরুত্বপূর্ণ? আরতির মাহাত্ম্য/মহিমা প্রসঙ্গে শাস্ত্রে আছে:- " মন্ত্রহীনং ক্রিয়াহীনং যৎকৃতং পূজনং হরেঃ। সর্বং সম্পূর্ণতামেতি কৃতে নীরাজনে শিবে।।" (হরিভক্তিবিলাস)  অর্থাৎ দেবদেবীর আরতি করলে, মন্ত্র ...

ত্রিসন্ধ্যা কাকে বলে? সময় ও তাৎপর্য | Hindu Rituals Explained

Image
ত্রিসন্ধ্যা কর্ম:সঠিক সময়ে ঈশ্বর স্মরণের গুরুত্ব ও পদ্ধতি  বা জীবনের প্রতিদিনের এক গুরুত্বপূর্ণ আধ্যাত্মিক অনুশীলন। ত্রিসন্ধ্যা কাকে বলে? ত্রিসন্ধ্যা কর্ম বলতে মূলত সূর্যোদয়ের পূর্বে, মধ্যাহ্নে এবং সূর্যাস্তের পরবর্তী সময়ে ঈশ্বরের নামজপ ও ধ্যানকে বোঝানো হয়। এই তিনটি সময়কে যথাক্রমে বলা হয় প্রাতঃসন্ধ্যা, মধ্যাহ্নসন্ধ্যা এবং সায়ংসন্ধ্যা। প্রত্যেক সন্ধ্যার সময় গায়ত্রী মন্ত্র ধ্যান ও জপের ধরণ এবং হাতের অবস্থান ভিন্ন হয়ে থাকে। ত্রিসন্ধ্যার সময় অনেক সাধক মধ্যরাতেও জপ-ধ্যান করেন বলে জানা যায় (যেমন রামকৃষ্ণ মিশনের ‘ব্রহ্মগায়ত্রী’ গ্রন্থে উল্লেখ আছে)। সব সময় সূর্যের অবস্থানকে ভিত্তি করে এই ত্রিসন্ধ্যার সময় নির্ধারিত হয়। ত্রিসন্ধ্যার ছবি প্রথম সন্ধ্যা (প্রাতঃসন্ধ্যা) সূর্যোদয়ের অন্তত আধঘণ্টা আগে উঠতে হয়। একে ব্রাহ্ম মুহূর্তে জাগরণ বলা হয়। উঠেই হাত-মুখ ধুয়ে যারা দীক্ষিত, তারা গুরুর স্মরণ করে তাঁর প্রদত্ত মন্ত্র জপ করবেন। যারা দীক্ষিত নন, তারা ঈশ্বরের যেকোনো নাম (যেমন রাম, কৃষ্ণ, হরিনাম, ওঁ ইত্যাদি) অন্তত ১০৮ বার জপ করবেন। এই জপ ও ধ্যান সূর্যোদয়ের পর আধঘণ্টা পর্যন্ত চলতে পারে। দ্বিতীয়...

উলুধ্বনি কেন দেওয়া হয়? জানুন এর ইতিহাস ও কারণ

Image
আমাদের হিন্দু সমাজে বাঙালীদের বারো মাসে তেরো টি পূজা  পার্বন হয়ে থাকে। উৎসব-অনুষ্ঠান বাঙালীর সভ্যতা জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। সন্ধ্যাপূজা থেকে আরম্ভ করে যেকোনো পূজা পার্বণ তথা বিয়েবাড়ি সহ যেকোনো মাঙ্গলিক কর্মকান্ডে শঙ্খ, কাসর, ঘন্টা, ঢাক ইত্যাদির সাথে যেটা আমাদের কর্ণগোচর হয় তা হলো মহিলাদের সমবেত উলু ধ্বনি।  এমনকি নজরুলের কবিতাতেও আমরা শুনি –“উলু দেয় পুরনারী”।  তবে এককালে বাঙালী হিন্দুদের অন্যতম সনাতন উপাচার এখনকার আধুনিক সমাজের কাছে অনেকটাই উপেক্ষিত। অনেক মেয়েরাই ঠিক মতো উলু দিতে পারেন না, বিব্রত বোধ করেন। বাঙালী সংস্কৃতির সাথে শিকড়ের যোগের কথা ভুলে গিয়েছি আমরা নিজেদের অজান্তেই।  তাই চলুন আজকে আমরা উল্লেখ করবো মেয়েরা ঠিক কোন কারণে উলুধ্বনি দেয় এবং এর নানা উপকারিতার কথা।   📖 এক নজরে দেখে নিন এই  ব্লগ পোস্টে কি প্রশ্নের উত্তর পাবেন কিভাবে মর্তলোকে উলুধ্বনির প্রচলন শুরু হলো উলুধ্বনির ইতিহাস ও কারণ কখন কিভাবে কতবার উলুধ্বনি দেয়া হয়  উলুধ্বনি কেন দেওয়া হয় উলুধ্বনির অর্থ কী? উলুধ্বনি কেন দেওয়া হয়? জানুন এর ইতিহাস ও কারণ আসুন জেনে নেই, উলুধ্বনির অর্...

মহা মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র বাংলা অনুবাদ

Image
মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র একটি সর্বরোগ হরণকারী মন্ত্র। এই মন্ত্রটি ভগবান মহাদেবকে স্মরণ করে রচিত। এই মন্ত্রটি ঋগ্বেদেও দৃষ্ট হয় - আবার এই মন্ত্রটি মার্কণ্ডেয় পুরাণেও দৃষ্ট হয়। এই মন্ত্রটি জপ করলে মানুষ সব অশান্তি , রোগপীড়া , ব‍্যাধি থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত হয়। নিরাকার মহাদেবই মৃত‍্যুমুখী প্রাণকে বলপূর্বক জীবদেহে পুণঃ প্রতিষ্ঠিত করেন এবং অপার শান্তিদান করেন। মৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র এই মন্ত্রটির সাথে একটি কাহিণী প্রচলিত আছে। সেটি হল - মহর্ষি মৃকন্ডু এবং তাঁর পত্নী মরুদবতী পুত্রহীণ ছিলেন। তারা তপস‍্যা করেন মহাদেবকে সন্তুষ্ট করেন এবং এক পুত্র লাভ করেন , যার নাম হল মার্কন্ডেয়। কিন্তু মার্কন্ডেয়র বাল‍্যকালেই মৃত‍্যুযোগ ছিল। অভিজ্ঞ ঋষিদের কথায় বালক মার্কন্ডেয় শিব লিঙ্গের সামনে মহামৃত‍্যুঞ্জয় মন্ত্র জপ করতে লাগলেন। যথা সময়ে যম রাজ এলেন। কিন্তু মহাদেবের শরণে আসা প্রাণকে কেইবা হরণ করতে পারে ! যমরাজ পরাজিত হয়ে ফিরে গেলেন এবং মার্কন্ডেয় মহাদেবের বরে দীর্ঘায়ু লাভ করলেন। পরে তিনি মার্কন্ডেয় পুরাণ রচনা করলেন।  মার্কন্ডেয় ঋষি মহাদেবের স্তুতি করলেন মহামৃত‍্যুঞ্জয় স্তোত্রের মাধ‍্যমে যেটি মার্কন্...

সোমবার কে শিবের সেবার দিন বলার কারণ

Image
শিবের পূজায় সোমবার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি চন্দ্রদেব (চন্দ্র)-এর সাথে সম্পর্কিত একটি দিন, এবং চন্দ্রের সঙ্গে শিবের গভীর যোগসূত্র রয়েছে।সোমবার কে শিবের সেবার দিন বলা হয়।।এই দিনের কি কোন বিশেষ বৈশিষ্ট্য আছে? সোমবার শৈবদের কাছে অতন্ত গুরুত্বপূর্ন এক দিন। এই দিনটিকে মহাদেবের আরাধনার এক বিশেষ দিন হিসেবে মনে করা হয়। সৃষ্টির পূর্বে একমাত্র শিবই বর্তমান ছিলেন। তিনিই লীলাচ্ছলে ব্রহ্মারূপে সৃষ্টি করেন, বিষ্ণুরূপ ধারণ করে পালন করেন আবার রুদ্ররূপ ধারন করে সংহার করেন। ব্রহ্মা-বিষ্ণু-হর তারই সৃষ্টি-স্থিতি-লয়ের তিনটি রূপভেদ মাত্র। তাই এই তিন রূপের মধ্যে সত্বার কোন পার্থক্য নেই। তবু সনাতন রূপ পরম শিবরূপই মূলস্বরূপ।দেবাদিদেব মহাদেবের(lord shiva) সঙ্গে জড়িয়ে আছে সোমবার। সোমবার শিবের দিন  আশ্চর্যের বিষয় হল সপ্তাহের সাতটি দিনের মধ্যে এই সোমবার দিন মহাদেবের অত্যন্ত প্রিয় দিন। আর এই জন্যই মহাদেব এই দিনটি থেকে পুজো পেতে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন। আপনি যদি জীবনের সব সংকট থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে প্রতি সোমবার অবশ্যই নিয়ম ও নিষ্ঠা সহকারে শিব পুজো করুন।পূণ্যার্থীদের কাছে  সোমবারের গুরুত্ব অপ...

হাতে লাল সুতো বাঁধা হয় কেন?

Image
লাল সুতো বাঁধার প্রচলন রয়েছে হিন্দুদের মধ্যে হাতে , অনেক লোকের কবজিতে এক গুছো লাল সুতো বাঁধা থাকে রাস্তাঘাটে চলতে গিয়ে আপনি হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন। সাধারণত হিন্দু ধর্মের লোকেরা লাল সুতো হাতে বেধে থাকে বিপদতারিনী পূজোর জন্য। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস  সমস্ত অমঙ্গল ও বিপদ আপদ থেকে তাদের নিরাপদ রাখবে এই অলৌকিক সুতো । সনাতন ধর্মীরা হাতে লাল সুতো বাঁধার ধর্মীয় কিছু ব্যাখ্যা:পুরাণে লাল সুতো ব্যবহারের আরো কিছু উদাহরণ পাওয়া যায় বিভিন্ন যজ্ঞ ও পূজো ছাড়াও। প্রথমতঃ ভক্ত প্রহ্লাদের নাতি বলি মহারাজ ব্রহ্মার আশীর্বাদে স্বর্গ মর্ত্য ও পাতালের অধিকারী হয়েছিলেন। দেবরাজ ইন্দ্রের সিংহাসন রক্ষা করতে ভগবান বিষ্ণু বামন রূপে জন্মগ্রহণ করে বলিরাজকে পাতালে পাঠিয়ে দেন। বলিরাজকে অমরত্ব দান করেন ভগবান বিষ্ণু। তিনি তার হাতে বেধে দেন লাল সুতো আশীর্বাদ স্বরূপ। হিন্দুদের মধ্যে হাতে লাল সুতো বাঁধার প্রচলন রয়েছে তাই ভগবানের আশীর্বাদ হিসেবে । হাতে লাল সুতো বাঁধা হয় কেন? দ্বিতীয়তঃ একসময় দেবতা ও অসুরদের মধ্যে প্রচন্ড যুদ্ধ শুরু হয়,অসুরদের পরাক্রম দেখে দেবরাজ ইন্দ্ৰ খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন। স্বামীকে চ...

হিন্দু ধর্মে নারীর পোশাক সম্পর্কে শাস্ত্রে কি বলা হয়েছে

Image
হিন্দু ধর্মে নারীর পোশাক সম্পর্কে তেমন কোন নির্দিষ্ট নিয়ম না থাকলেও সাধারণ কিছু নিয়ম রয়েছে যেগুলো একজন নারীর জন্য অত্যাবশ্যক আসুন আমরা জেনে নেই সে সম্পর্কে। হিন্দু ধর্মে নারীদের পোশাক পরম্পরা সম্পর্কে প্রাচীন এবং মধ্যযুগীয় যুগের তথ্য অনেকের মতে অস্পষ্ট তবে বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী অনেকটাই স্পষ্ট ।বেদ গ্রন্থ ছাড়াও  প্রাচীন ভারতীয় গ্রন্থে সাধারণত নারীদের  বস্ত্রের উল্লেখ আছে। যেমন উদাহরণস্বরূপ বলা যায়,অর্থশাস্ত্রে পোশাক এবং উদ্ভিদ-ভিত্তিক, মসলিন-ভিত্তিক, উল-ভিত্তিক বস্ত্রের আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে রঞ্জিত, বোনা উল্লেখ করা হয়েছে। নারী বা পুরুষের পোশাক পরিধান সম্পর্কে সনাতন ধর্মের পবিত্র সংবিধান বেদের আলোকে তা উপস্থাপন করছি… হিন্দু ধর্মে নারীর পোশাক সম্পর্কে কোনো নির্দিষ্ট ও বাধ্যতামূলক নিয়ম নেই, যেমনটা অনেক ধর্মে দেখা যায়। তবে হিন্দু সমাজে এবং সংস্কৃতিতে কিছু ঐতিহ্যবাহী ও সাংস্কৃতিক পোশাকের ধরণ গড়ে উঠেছে, যা সময়, অঞ্চল ও সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে ভিন্ন হতে পারে। হিন্দু ধর্মে নারীর পোশাক ধর্মমতে শালীনতা আসলে শুধুমাত্র পোশাকে সীমাবদ্ধ থাকার বিষয় নয় তৎসংজ্ঞে চিন্তায়,আচরনে, সর্বক্ষেত্র...

তুলসী মালা কত প্যাচ পরতে হয়

Image
তুলসী মালা পরার কোনো নির্দিষ্ট বাধ্যতামূলক "প্যাচ" (ঘুরানো বা স্তর) সংখ্যা নেই, তবে সাধারণত ১, ৩, ৫, ৭ বা ১০ প্যাচে তুলসী মালা পরা হয়। এটি ভক্তের ভক্তি, নিয়ম ও বিশ্বাসের উপর নির্ভর করে। সাধারণভাবে দেখা যায়: ১ বা ৩ প্যাচ: সাধারণ ভক্তরা বা যারা সদ্য মন্ত্রজপ শুরু করেছেন, তারা ১ বা ৩ প্যাচ পরেন। ৫ বা ৭ প্যাচ: গভীর ভক্তি বা গুরু নির্দেশিত সন্ন্যাসীরা বা বৈষ্ণব ভক্তগণ পরেন। ১০ প্যাচ বা বেশি: খুবই নিষ্ঠাবান সাধক বা গুরু নির্দেশে বিশেষ কারণে কেউ কেউ পরতে পারেন।তুলসী মালা হিন্দু ধর্মে একটি পবিত্র মালা, যা তুলসী (Ocimum sanctum) গাছের কাঠ বা বীজ দিয়ে তৈরি হয়। এটি সাধারণত ভগবান কৃষ্ণ, বিষ্ণু বা রাধার ভক্তরা ব্যবহার করেন জপ করার জন্য এবং গলায় ধারণ করেন। তুলসী মালার বিভিন্ন ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক গুরুত্ব রয়েছে। চলুন এখন আমরা জেনে নেই কি করে তুলসী মালা পরিধান করব.. স্কন্দপুরাণে বলা হয়েছে-যে ব্যক্তি নিজের গলায় তুলসী মালা ধারন করেনা, ওই মুঢ় ব্যক্তি যদি জল স্পর্শ করে তাহলে ঐ জল মদের(alcohol) সমান হয়ে যায় ও কেউ যদি খাবার স্পর্শ করে তাহলে সেই খাবার রাজহাঁসের মল/বিষ্টা সম হয়ে যায়।" তাই...

গুরু মন্ত্র জপ করার নিয়ম

Image
সূর্যোদয়ের কমপক্ষে আধঘণ্টা আগে,স্নানের পর দুপুরে বা তার একঘন্টা আগে পরে এবং সৃর্যাস্তের অর্ধ ঘণ্টা পর ফ্রেশ মন নিয়ে ১০৮ বার গুরু মন্ত্র জপ করতে হয়।গুরু মন্ত্র জপ করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের কিছু জিনিস জানতে হবে তা এমনি বর্ণনা করা হলোঃ গুরু মন্ত্র জপ করার সঠিক নিয়ম সাধারণ অর্থে অন্ধকার ভেদ করে আসা আলোর একটি উৎসস্থল স্থান হলে গুরু। গুরু মন্ত্র হল এমন একটি বিশেষ মন্ত্র, যা একজন শিষ্য তার গুরু বা আচার্যের কাছ থেকে দীক্ষার সময় গ্রহণ করেন। এই মন্ত্র গুরু প্রদত্ত আধ্যাত্মিক শক্তি বহন করে এবং শিষ্যের আত্মিক উন্নতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। বংশ পরমপরাক্রম মতেই অভিষ্ট গুরুর কাছ থেকে এই গুরু মন্ত্র নিতে হয়।কারন যাকে নিয়ে তোমার পূর্বসুরিরা আজও গর্বিত যে গুরু  নিয়ে সেই গুরু অর্থাৎ গুরু হচ্ছে তোমার আমার সেই গোত্র গুরু । দীক্ষা মন্ত্র : এটি হচ্ছে দক্ষতা বিষয়। অভিস্ট লক্ষে পৌছাতে হলে একটা আদেশ/তার মানচিত্র /করনীয় বিষয় যা সেই একমাত্র দিতে পারে অন্য কেউ নয় তার উপায়ই হচ্ছে দীক্ষা। গুরু মন্ত্র জবের নিয়ম শিক্ষা মন্ত্র : এটি সাধনার বিশেষ পর্ব। ধর্মজ্ঞান বিষয়ে চর্চা করা...

ধর্মমতে একজন মানুষের দৈনিক কার্যাবলী

Image
হিন্দু ধর্মে দৈনন্দিন জীবনযাপনের জন্য নির্দিষ্ট কিছু আচার-অনুষ্ঠান ও নিয়ম-কানুন অনুসরণ করা হয়। এসব কার্যাবলী ব্যক্তিগত ভক্তি, পারিবারিক সংস্কৃতি এবং সামাজিক রীতিনীতির ওপর নির্ভর করে। একজন সনাতন(হিন্দুধর্মনুরাগী) ধর্মাবলম্বীর/ধর্মাবলম্বিনীর দৈনিক কার্যাবলী নিম্নের ধাধারাবাহিকভাবে আলোচনা করা হলোঃ একজন সনাতনী নরনারীর দৈনিক সাধারণ কার্যাবলীঃ ১."ওঁ তৎ সৎ”/ হরে কৃষ্ণ বা নিজ ইষ্টদেবতার নাম দিয়ে শুরু করা উচিত হিন্দু ধর্মীয় সকল কাজ শুরুর আগে।  ২."ওঁ প্রিয়দত্তায়ৈ ভূম্যৈ নম:" বলুন সকালে ঘুম থেকে উঠে পূর্বমুখী হয়ে মাটি স্পর্শ করে।  ৩.ঘরের দরজা খুলে পূর্বমুখী হয়ে সূর্য প্রণাম মন্ত্র: ওঁ শ্রী সূর্যায় নমঃ।  ৪. স্নান করার সময় বলুন- ওঁ গঙ্গে চ যমুনা চৈব গোদাবরি সরস্বতী নর্মদে সিন্ধু কাবেরি জলেহস্মিন সন্নিধিং কুরু। পরে- ওঁ কুরুক্ষেত্র গয়া গঙ্গা প্রভাস পুষ্করিণী চ তীর্থান্যেতানি পুণ্যানি স্নানকালে ভবন্ত্বিহ। ৫.গৃহ প্রবেশ মন্ত্র- ওঁ শ্রী বাস্তুপুরুষায় নমঃ। ৬ খাবার আগে- ওঁ শ্রী জনার্দ্দনায় নম: ৭. ঘুমাবার আগে- ওঁ শ্রী পদ্মনাভায় নমঃ। ৮.বিপদে পড়িলে - ওঁ শ্রী মধুসূদনায় নমঃ। ৯.মলমূত্...