Posts

Showing posts with the label পূজা_পার্বণ

শিবের মাথায় বেলপাতা ও জল ঢাললে কী লাভ হয়? (শিব চতুর্দ্দশী বিশেষ)

Image
শিব চতুর্দ্দশীতে ভগবান শিবের মাথায় জল ও বেলপাতা অর্পণ করলে কী ফল লাভ হয়? চতুর্দ্দশীতে জল ও বেল পাতা দিলে কি ফল লাভ হয় এবং কি  করনীয়?চতুর্দ্দশীতে বর্জনীয় বিষয় কি! শিবের মাথায় বেলপাতা ও জল ঢালার প্রচলন হিন্দু ধর্মের একটি গভীর আধ্যাত্মিক রীতি। এর কিছু মূল অর্থ ও লাভ হলো: শিবের প্রতি গভীর ভক্তি ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য বেলপাতা ও জল নিবেদন করা হয়। এতে ভক্ত ও ঈশ্বরের মধ্যে এক অন্তরঙ্গ সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, শিবলিঙ্গে জল ও বেলপাতা নিবেদন করলে পাপক্ষয় হয় এবং আত্মার শুদ্ধি ঘটে। বলা হয়, এই সাধনায় মানসিক শান্তি, দেহের সুস্থতা ও জীবনের বিভিন্ন বাধা দূর হয়। বেলগাছকে খুব পবিত্র মনে করা হয়। বেলপাতার তিনটি অংশ (ত্রিপত্র) শিবের তিনটি শক্তিকে (ইচ্ছা, জ্ঞান, কর্ম) প্রতিনিধিত্ব করে। শাস্ত্র অনুযায়ী, শিব সহজে সন্তুষ্ট হন ("ভোলেনাথ")। তাই যারা নিষ্ঠার সাথে এই নিবেদন করে, শিব তাঁদের মনোবাঞ্ছা পূরণ করেন বলে বিশ্বাস করা হয়।  ব্রতকথাঃ বহু কাল আগে বারাণসী তে এক ব্যাধ ছিল।দিবারাত্রি সে শুধু জীব হত্যা করত।একদিন ব্যাধ শিকার করতে গিয়ে সারা দিনে কোন শিকার পেলোনা শেষে এক...

শিবপূজার সঠিক বিধি ও নিয়ম - সম্পূর্ণ গাইড

Image
শিব হলেন স্বয়ং মহাদেব যাকে আমরা মহাদেব ভোলানাথ হিসেবে জানি। আর এই মহাদেব বা শিব হলেন সৃষ্টি, স্থিতি ও সংহারের একমাত্র অধিকারী। শিবের পূজা এজন্য ফলপ্রদ হয়ে থাকে। এই পূজা সাধারণত সোমবার, মহা শিবরাত্রি ও প্রদোষ কালে হয়ে থাকে। মুক্তিকা নির্মিত শিবপূজা বিধি (দুইটি শিবলিঙ্গ একত্র রাখিয়া পূজা করিবেন না। একটির পুজা হইলে পরে আর একটি নির্মাণ করিয়া পুজা করিবেন)। শিবপূজার সঠিক বিধি অঙ্গুষ্ঠ পরিমিত সব শিবলিঙ্গ নির্মাণ করিয়া উত্তরদিকে পিনাক স্থাপন ও বিশ্বপত্রদ্বারা তদগাত্রমার্জনপূককে ঐ পরের মধ্যদলের সোজা পৃষ্ঠের উপর বসাইবেন (তাম্র, কাংস্য, স্বর্ণ বা রৌপ্য পাত্রে শিবপূজা প্রশস্ত) ও স্বয়ং উত্তরাস্য হইয়া বসিবেন। ভস্ম বা মৃত্তিকা দ্বারা কপালে রিপুশুক (অর্থ চন্দ্রাকৃতি) এবং রুদ্রাক্ষের মালা ধারণ করিয়া শিবপূজা করিবেন। ও হরায় নমঃ বলিয়া শিবের মস্তকে কিঞ্চিৎ জল দিয়া বজ্র নামাইয়া পিনাকের উপর রাখিবেন। ও মহেশ্বরায় নমঃ বলিয়া শিবের মস্তকটি একটু টিপিয়া গঠন করিবেন। ও শূলপাণে ইহ সুপ্রতিষ্ঠিতো ডব বলিয়া লিঙ্গের উপর আতপ চাউল দিয়া প্রতিষ্ঠা করিবেন। শিবের ধ্যান -ও ধ্যায়েন্নিত্যং^ মহেশং রজতগিরিনিভং_- চারু...

বেলপাতা কেন শিবের পূজায় ব্যবহার করা হয়? অজানা তথ্য!

Image
শিব পূজায় বেল পাতার ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঐতিহ্যগতভাবে মহাদেব শিবের আরাধনায় বেলপাতা বিশেষ একটি স্থান অধিকার করে রয়েছে। শিবের পছন্দের তালিকায় বেলপাতা বা বেল ফল 'পত্র' হিসেবে পরিচিত এবং এটি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয় শিব আরাধনা ও শিবপূজায়। বেলপাতা শিবের প্রিয় হওয়ার কারণ? বেলগাছের পৌরাণিক জন্মকথা লক্ষ্মীর মন বড় উচাটন হল বৈকুণ্ঠে সেদিন,কি যেন কারনে সেটা ঘটেছিল সেদিন লক্ষ্মীর । মনে ভয়ানক আক্ষেপ জাগল তাঁর, তিনি যে স্বামী নারায়ণের নিত্য সেবা, নৈমিত্তিক সাধনায় নিজেকে সমর্পণ করেছেন; তাতে বুঝতে পারেন যে, স্বামী তাঁকে ভালোবাসেন। কিন্তু ত্রিজগতের সমস্ত কিছুর উপরে তাঁকেই প্রিয় মনে করেন কিনা, তা তো তিনি বুঝতে পারেন না! যতই এই ভাবনা বুকের ভেতর উথাল-পাথাল হতে থাকল, ততই মনের মধ্যে অশান্তির জোয়ার বাড়তে লাগল। মনের সেই ওঠাপড়ার মধ্যে একসময় লক্ষ্মী এসে বসলেন স্বামীর পাশে, যিনি অনন্ত শয্যায় যোগনিদ্রিত ছিলেন। ধীরে ধীরে পদধ্বনি নিয়ে, তিনি স্বামীর পায়ের কাছে আসলেন। নিঃশব্দে শুরু করলেন পদসেবা, যেন সেই স্পর্শে তাঁর স্নেহ ও শ্রদ্ধা মিশে রয়েছে। নারায়ণ ধীরে ধীরে চোখ মেললেন, কোমল দৃষ্টিতে তাকালেন লক্ষ্মী...

মা কালীর ১০৮টি নাম (অষ্টোত্তর শতনাম) - কালীপূজার মন্ত্র, অর্থ ও মহিমা

Image
শ্রীশ্রী কালীর অষ্টোত্তর শতনাম হলো মা কালীর ১০৮টি নামের একটি পঙ্ক্তি, যা কালীপূজার সময় বা কালীমন্ত্র পাঠের সময় পাঠ করা হয়। এটি মায়ের বিভিন্ন রূপ এবং শক্তির প্রতীক। এখানে কিছু নাম দেওয়া হলো: অষ্টোত্তর শতনাম শ্রীশ্রীকালীর অষ্টোত্তর শতনাম করালিনী কালী মাগো কৈবল্যদায়িনী | ১ জগদম্বা নামে তুমি বিমুক্তকারিনী || ২ দুঃখনাশ কর বলি হলে দুঃখহরা | ৩ জগতের মাতা তুমি হর মনোহরা || ৪ বিপদে রেখো মা কোলে ওগো হরজায়া | ৫ মায়া বিস্তারিয়া মাগো হলে মহামায়া || ৬ মৃগনেত্র সম বলি কুরঙ্গনয়নী | ৭ রণেতে প্রমত্ত বলি চন্ডী মা জননী || ৮ শঙ্করের জায়া বলি হলে মা শঙ্করী  | ৯ ভব জায়া বলি তুমি ভবানী ঈশ্বরী || ১০ কালীর অষ্টোত্তর শতনাম ভীষণ আনন বলি করালবদনী | ১১ দীনহীনে কর দয়া দনুজদলনী || ১২ কৃত্তিবাস হলে মাগো বাগছাল পরি | ১৩ তাই তুমি মা শঙ্করী কৃত্তিবাস দারা || ১৪ পাপ বিনাশিনী কালী নৃমুন্ডমালিনী  | ১৫ অধীনে কর মা দয়া তুমি কাত্যায়নী  || ১৬ কুলকুন্ডলিনী মাগো তুমি মহাসতী | ১৭ ষড়ৈশ্বর্য্যময়ী বলি নাম ভগবতী  || ১৮ জগত-জননী মাগো কালী কপালিনী  | ১৯ কটিতে ঘুঙ্গুর পরি হলে মা কিঙ্কিনী  || ২০ দনুজ দলন...

মূর্তি পূজা কেন করা হয়

Image
মূর্তি পূজা হল হিন্দু ধর্মের একটি প্রচলিত উপাসনার পদ্ধতি, যেখানে ভক্তরা ঈশ্বর বা দেবদেবীর একটি মূর্তিকে প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে পূজা করে। এই মূর্তিকে কেন্দ্র করে ভক্তি, প্রার্থনা ও উপাসনা করা হয়, যা ঈশ্বরের প্রতি ভালোবাসা ও আত্মনিবেদনের প্রকাশ। অতএব, "মূর্তি পূজা" (Murti Puja) বলতে বোঝানো হয় কোনো দেব-দেবীর প্রতিমা বা মূর্তিকে উপাসনার মাধ্যমে শ্রদ্ধা ও ভক্তি জ্ঞাপন করাকে। মূর্তিপূজাকে হিন্দু ধর্মের একটি প্রচলিত আচার বলা যায়, যেখানে ভগবানকে মূর্তির মাধ্যমে উপলব্ধি করতে হয় এবং সেই সকল দেবদেবী/মূর্তির আরাধনা করা হয়।ঈশ্বরকে অনুভব করার সহজ মাধ্যম মানুষের পক্ষে নিরাকার, নিরগুণ, অদৃশ্য ঈশ্বরকে ধ্যান করা কঠিন। তাই ঈশ্বরের একটি দৃশ্যমান রূপ কল্পনা করা হয়। সেই রূপই মূর্তি। মূর্তি পূজা কী? "মূর্তি" শব্দের অর্থ হলো কোনো কিছুর দৃশ্যমান রূপ বা অবয়ব। "পূজা" মানে হলো উপাসনা বা শ্রদ্ধা নিবেদন। তাই মূর্তি পূজা মানে কোনো দেবতা বা ঈশ্বরের একটি দৃশ্যমান রূপ বা প্রতিমার মাধ্যমে তাঁকে উপাসনা করা। কিছু প্রচলিত মূর্তি পূজার উদাহরণ: দুর্গা পূজা – দেবী দুর্গার মূর্তি স্থাপন করে ...

ছট পূজা কি এবং কেন পালিত হয়

Image
ছট পূজা হল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম প্রধান উৎসব, যা সূর্যদেব এবং ছট মাইয়াকে উৎসর্গ করে পালিত হয়। এটি মূলত বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, নেপাল এবং পশ্চিমবঙ্গের কিছু অঞ্চল ও বাংলাদেশে কিছু জায়গায়  বিশেষভাবে পালিত হয়। ছট পূজা কেন পালিত হয়? ছট পূজার মূল লক্ষ্য হল সূর্যদেব ও ছট মাইয়ার কৃপা প্রার্থনা করা, যাতে জীবন সুখ-সমৃদ্ধিতে পরিপূর্ণ হয়। বিশ্বাস করা হয় যে সূর্যদেব মানবজাতির স্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি এবং কল্যাণের রক্ষক। ছট পূজা ছটপূজার বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হয়েছে।  ছট পুজা:-ছট পূজা কত তারিখে হবে? কালীপূজা তথা দীপাবলির ঠিক ছয় (৬) দিন পর পালিত হয় যে উৎসব তাই ছট পূজা নামে পরিচিত। বাংলা কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে এই পুজোর বিধান রয়েছে। অথর্ব বেদেও এই পর্বের উল্লেখ রয়েছে। ছট পর্ব সম্পর্কে বহু কাহিনী প্রচলিত আছে। মনে করা হয়, মহাভারতে কুন্তি দ্বারা সূর্যের আরাধনা এবং কর্ণের জন্ম থেকেই এই পর্বের সূচনা। আবার ছট পর্ব শুরুর অন্য একটি কাহিনীও প্রচলিত আছে। পুরাণে কথিত আছে, প্রিয়ব্রত নামক রাজার কোনও সন্তান ছিল না। সন্তানপ্রাপ্তির জন্য তাঁকে পুত্রয়েষ্টি যজ্ঞ করতে বলেন মহর্ষি...