Posts

বেলপাতা কেন শিবের পূজায় ব্যবহার করা হয়? অজানা তথ্য!

Image
শিব পূজায় বেল পাতার ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঐতিহ্যগতভাবে মহাদেব শিবের আরাধনায় বেলপাতা বিশেষ একটি স্থান অধিকার করে রয়েছে। শিবের পছন্দের তালিকায় বেলপাতা বা বেল ফল 'পত্র' হিসেবে পরিচিত এবং এটি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয় শিব আরাধনা ও শিবপূজায়। বেলপাতা শিবের প্রিয় হওয়ার কারণ? বেলগাছের পৌরাণিক জন্মকথা লক্ষ্মীর মন বড় উচাটন হল বৈকুণ্ঠে সেদিন,কি যেন কারনে সেটা ঘটেছিল সেদিন লক্ষ্মীর । মনে ভয়ানক আক্ষেপ জাগল তাঁর, তিনি যে স্বামী নারায়ণের নিত্য সেবা, নৈমিত্তিক সাধনায় নিজেকে সমর্পণ করেছেন; তাতে বুঝতে পারেন যে, স্বামী তাঁকে ভালোবাসেন। কিন্তু ত্রিজগতের সমস্ত কিছুর উপরে তাঁকেই প্রিয় মনে করেন কিনা, তা তো তিনি বুঝতে পারেন না! যতই এই ভাবনা বুকের ভেতর উথাল-পাথাল হতে থাকল, ততই মনের মধ্যে অশান্তির জোয়ার বাড়তে লাগল। মনের সেই ওঠাপড়ার মধ্যে একসময় লক্ষ্মী এসে বসলেন স্বামীর পাশে, যিনি অনন্ত শয্যায় যোগনিদ্রিত ছিলেন। ধীরে ধীরে পদধ্বনি নিয়ে, তিনি স্বামীর পায়ের কাছে আসলেন। নিঃশব্দে শুরু করলেন পদসেবা, যেন সেই স্পর্শে তাঁর স্নেহ ও শ্রদ্ধা মিশে রয়েছে। নারায়ণ ধীরে ধীরে চোখ মেললেন, কোমল দৃষ্টিতে তাকালেন লক্ষ্মী...

হিন্দুধর্মের সকল ধর্মীয় আচার ও রীতিনীতি – বিস্তারিত তথ্য ও তাৎপর্য

Image
হিন্দু ধর্মে বিভিন্ন রীতি, আচার ও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ধর্মীয় জীবনচর্চা প্রকাশ পায়। এগুলোর মাধ্যমে দৈনন্দিন জীবন, উৎসব, জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন পর্যায়ে ধর্মীয় বিশ্বাস ও সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটে। হিন্দুধর্মীয় রীতি ও আচার অনুষ্ঠানগুলো শত শত বছর ধরে চলে আসা এক ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা। এগুলোর মধ্যে ধর্মীয়, পারিবারিক ও সামাজিক বিভিন্ন দিক জড়িয়ে আছে। নিম্নে কিছু প্রধান হিন্দু ধর্মীয় রীতি ও আচার নিচে দেওয়া হল: হিন্দু ধর্মের কিছু আচার ও অনুষ্ঠান হিন্দু ধর্মের কিছু আচার ও অনুষ্ঠান  দৈনন্দিন আচার /নিত্য ক্রিয়া প্রাতঃক্রিয়া:সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান, সূর্য নমস্কার, ধ্যান ও প্রার্থনা করা। ঘরে বা মন্দিরে দেবদেবীর মূর্তি বা প্রতীকের সামনে দীপ, ধূপ, ফুল ও নৈবেদ্য নিবেদন। জব করতে হবে ওঁম্, গায়ত্রী মন্ত্র বা ইষ্টদেবতার মন্ত্র জপ করা। ভগবদ্গীতা বা বেদ পাঠ করতে হবে। হিন্দু ধর্মে মোট সংস্কার (১৬টি সংস্কার) হিন্দু ধর্মে জীবনচক্রের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলোতে ১৬টি সংস্কার (সংস্কার)পালন করা হয়,যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: গর্ভাধান:সন্তান ধারণের পূর্বে অনুষ্ঠান। পুংসবন:গর্ভস্থ সন্তানের মঙ্গল ক...

পূর্ব জন্মের কর্মফল কি সত্য? হিন্দু শাস্ত্র ও বিজ্ঞানের দৃষ্টিভঙ্গি

Image
যদি কেউ পূর্বজন্মে পাপকর্ম করে থাকে, তাহলে এই জন্মে বা পরের জন্মে তার কষ্টভোগ করতেই হবে।কথায় আছে যেমন কর্ম তেমন ফল । বেদান্তসূত্রে বলা হয়েছে, জগৎকে সৃষ্টির জন্য ব্রহ্মকেও জীবের কর্মফলের অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে। আমাদের সাধারণ জীবনযাপনে দেখা যায় অনেকেই নানা পদ্ধতিতে শ্রমের দ্বারাও জীবনে সুখের সন্ধান পেতে পারে না আবার অন্যদিকে কেউ কেউ বিনা পরিশ্রমেই অনেক শ্রমের ফল ভোগ করে। উপনিষদে বলা হয়েছে ভাল কাজ করলে পুণ্য আর পাপ কাজ করলে মন্দ ফল ভোগ করতে হয়। পূর্ব জন্মের কর্মফলেই ইহলোক ও পরলোক প্রাপ্তির প্রধান কারণ হিসাবে মনে করা হয়। দেহত্যাগের পর যারা খুব পুন্যবান তারা চন্দ্রালোকে যান সুখ ভোগ করতে, আর পাপী আত্মাদের গন্তব্য হয় যমলোকে। পূর্ব জন্মের কর্মফল পূর্ব জন্মের কর্মফল: পাপ-পুণ্যের ফল কীভাবে ভোগ করি পরের জন্মে? কোন পাপের ফল পরের জন্মে কীভাবে পাবেন হিন্দু পুরাণ বলছে, মানুষ যতই চেষ্টা করুক না কেন, কর্মফল কখনওই বর্তমান জন্মে ভোগ করা যায় না। ভাল-খারাপ দুই ধরনের কাজেরই ফলাফল মেলে পরের জন্মে।  শুধু তাই নয়, বর্তমান জন্মও প্রভাবিত হয় পূর্বজন্মের কৃতকর্ম দিয়ে। অর্থাত্‍ পরবর্তী জন্মে জন্ম নেওয়ার আগেই, পূর...

আইভিএফ (IVF) নিয়ে ধর্মীয় বিধান: ইসলাম ও হিন্দুধর্ম মতামত

Image
ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে IVF (ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) নিয়ে বিভিন্ন ধর্মের ভিন্ন ভিন্ন মতামত রয়েছে। কিছু ধর্ম এটিকে নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য মনে করে, আবার কিছু ধর্ম এতে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে। তাই IVF বা সারোগেসির মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় নেতার সঙ্গে আলোচনা করা অত্যন্ত জরুরি। আইভিএফ (IVF) নিয়ে ধর্মীয় বিধান IVF কী? IVF, বা ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন, একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যা সেই দম্পতিদের জন্য তৈরি করা হয়েছে যারা সন্তান নিতে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। এই প্রক্রিয়ায়, একজন নারীর ডিম্বাণু সংগ্রহ করা হয় এবং তা ল্যাবরেটরিতে শুক্রাণুর সঙ্গে মিলিয়ে নিষিক্ত করা হয়। এরপর, সেই নিষিক্ত ভ্রূণটি আবার নারীর গর্ভে প্রতিস্থাপন করা হয়। এই পদ্ধতিতে স্বামী-স্ত্রীর নিজেদের ডিম্বাণু ও শুক্রাণু ব্যবহার করা হয়। তবে যদি কারো ডিম্বাণু বা শুক্রাণু না থাকে, তাহলে ডোনারের সাহায্য নেওয়া হয়। সারোগেসির ক্ষেত্রেও একইভাবে কাজ করা হয়, যেখানে অন্য একটি নারীর গর্ভ ব্যবহার করা হয় গর্ভধারণের জন্য। IVF নিয়ে বিভিন্ন ধর্মের দৃষ্টিভঙ্গি খ্রিস্টধর্ম: খ্রিস্টধর্মে এই বিষয়ে নানা মতামত রয়েছে। ক্যাথলিক মতবাদ অনুয...

ভক্তের মধ্যে ভগবান—এই বাক্যের গভীর অর্থ কি? | ভক্তি ও ঈশ্বরের সম্পর্ক

Image
"ভক্তের মধ্যে ভগবান" কথার অর্থ "ভগবান ভক্তের মধ্যে আছেন।" এই কথার মর্ম সত্য। যখন একজন ভক্ত ভগবানের প্রতি প্রচণ্ড উৎসর্গের সাথে, ভালোবাসা ও আন্তরিকতার সাথে ধ্যান করেন, তখন ভগবান সেই ভক্তের মধ্যে বাস করে থাকেন। হিন্দু দর্শনের একটি মূল নীতিতে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে: "যেখানে ভক্তি সেখানেই শক্তি।" ভগবত গীতা-তে কৃষ্ণ বলেছেন, "ভক্ত মহ ম প্রিয়হ।" (ভক্তরা আমার কাছে সবচেয়ে প্রিয় এবং আমি আমার ভক্তদের কাছে প্রিয়)। ভগবানের আসন হল তার ভক্তের হৃদয়। সত্যি ভক্তের কর্ম, চিন্তা ও কাজের মধ্যে ভগবানকে উপলব্ধি করা যায়। ভক্তের মধ্যে ভগবান ভগবান কি সত্যিই ভক্তের মধ্যে বাস করেন? ধর্মগ্রন্থের দৃষ্টিতে ব্যাখ্যা: পরমাত্মারুপে ভগবান প্রত্যেক জীবের অন্তরে নিত্য বিরাজমান।  সর্বস্য চাহং হৃদি সন্নিবিষ্টো (গীতা ১৫/১৫) কিন্তু ভগবদবিমুখ ব্যক্তি কখনই তাঁকে জানতে পারে না। মূঢ় ব্যক্তিরা ভগবানকে অবজ্ঞা করে।  অবজানন্তি মাং মূঢ়াঃ (গীতা ৯/ ১১)। ভগবান প্রতি অণু- পরমাণুতেও রয়েছেন,  অণ্ডান্তরস্থ ~পরমাণুচয়ান্তরস্থং(ব্রহ্মসংহিতা) কিন্তু শ্রদ্ধাভক্তি দরকার তাঁকে জানতে হলে । যার মধ্যে ভগ...